মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান আর মিত্র ছিল ভারত। এই শত্রু-মিত্রদের মধ্যে যাঁরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই যুদ্ধকালীন স্মৃতি লিখেছেন। পরে দুই দেশের আরও অনেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন, গবেষণা করেছেন। এগুলো মূলত ইংরেজিতে লেখা। এ ধরনের কিছু নির্বাচিত স্মৃতিকথা ও গবেষণা নিবন্ধ বাংলায় অনুবাদ করে ছাপা হলো এ বইয়ে। আগ্রহী পাঠক পাবেন অনেক অজানা তথ্য।
বইয়ের বিবরণ
স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনাতেই নির্ধারিত হয়ে যায় যে কে আমাদের শত্রু আর কে মিত্র। শত্রু তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমাদের বিরোধিতা করে, বিপরীতে মিত্র এগিয়ে আসে তার সর্বাত্মক সমর্থন নিয়ে। যুদ্ধে মিত্র ভারতের সহযোগিতায় আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়, আর শত্রু পাকিস্তান চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় এবং আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধ শেষে শত্রু ও মিত্র উভয় পক্ষের অনেকেই স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে স্মৃতিকথা লিখেছেন। এ সব রচনায় তাঁরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও তাঁদের যুক্ততার কথা তুলে ধরেছেন। এসব স্মৃতিকথা ও আলোচনা থেকে নির্বাচিত কিছু রচনা নিয়ে প্রকাশিত হলো এ বই। নির্বাচিত লেখকদের সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে খ্যাতিমান এবং আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে অংশ নিয়েছেন। যাঁরা স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য বই।
- শিরোনাম ১৯৭১: শত্রু ও মিত্রের কলমে
- লেখক মতিউর রহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মতিউর রহমান
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর।সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক ছিলেন ভোরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার।প্রথম আলোর সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ধনিকগোষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খোলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে: বিশিষ্টজনদের মুখোমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হোসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যতারা: কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ রাজনীতি: বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি: একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫)। ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যোগাযোগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার।