শেরেবাংলা আমাদের অন্যতম জাতীয় নেতা। ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ও বিভাগ-উত্তরকালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের অতিপ্রিয় ‘হক সাহেব’। মেধার সঙ্গে সাহস, বুদ্ধিমত্তা, বাগ্মিতা ইত্যাদি গুণের বিরল সমন্বয় ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। এই জীবনীগ্রন্েথ মহাপুরুষের সে জীবনালেখ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
বইয়ের বিবরণ
এ কে ফজলুল হক ছিলেন তাঁর সময়ের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। এই ভূখণ্ডের প্রায় শতাব্দীকালের ইতিহাসকে তিনি নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন। ‘শেরেবাংলা’ এই পরিচয়ের বাইরে গ্রামবাংলার আপামর মানুষের হৃদয়ে তিনি তাঁদের প্রিয় ‘হক সাহেব’ হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মত-পথের ঊর্ধ্বে ছিল তাঁর স্থান। বিশেষ করে এ দেশের গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মেধার সঙ্গে সাহস, বুদ্ধিমত্তা, বাগ্মিতা ইত্যাদি গুণের বিরল সমন্বয় ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। এই জীবনীগ্রন্েথর লেখক বি ডি হাবীবুল্লাহ্ ছিলেন শেরেবাংলার রাজনৈতিক শিষ্য ও অনুসারী। খুব কাছ থেকে তিনি শেরেবাংলাকে দেখেছেন। তাঁর লেখা এই জীবনীগ্রন্েথ মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখা মহাপুরুষের সে জীবনালেখ্যই উঠে এসেছে।
- শিরোনাম শেরে বাংলা
- লেখক বি ডি হাবীবুল্লাহ্
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১৭৬৬০২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

বি ডি হাবীবুল্লাহ্
জন্ম ১৯০৮ সালে পটুয়াখালী জেলার লোহালিয়া গ্রামে। পড়াশোনা পটুয়াখালীর লতিফ স্কুল, বরিশাল বিএম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুলের ছাত্রাবস্থায়ই তিনি ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে যোগ দেন। এক দশকের বেশি সময় বিভিন্ন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে আইনে ডিগ্রি নিয়ে বরিশাল জেলা জজকোর্টে শুরু করেন আইন ব্যবসা। ১৯৩০ সালে শেরেবাংলা ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টিতে যোগ দেন। এই দলে থেকে সক্রিয় রাজনীতি করেন তিন দশক। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। একাধিকবার কারাবরণ করেন। ১৯৬০-এর দশকে শেরেবাংলার সঙ্গে তিনিও অবসর নেন রাজনীতি থেকে। পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে এয়ার মার্শাল আসগর খানের তেহরিকে এসতেকলাল পার্টিতে যোগ দেন ও দলের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান হন। সাহিত্যিক ও বাগ্মী হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল। উপন্যাস, নাটক, কবিতা ও গান লিখেছেন। মৃত্যু ১৯৯৮ সালের ১২ নভেম্বর।