শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এক প্রধান পুরুষ। এমন এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম, যেখানে কোনো উন্নত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ছিল না। কালক্রমে তিনি এ দেশের জাতীয় ইতিহাসের এক প্রভাববিস্তারী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। অসামান্য সৃজনক্ষমতা আর প্রান্তিক মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা তাঁকে সংগ্রামশীলতা ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছে। জয়নুলের এই হয়ে ওঠার বিস্তৃত ইতিহাস এবং তাঁর সৃষ্টিশীল জীবনাখ্যানকে সামগ্রিকভাবে বিবৃত করা হয়েছে এ বইয়ে, যা লেখকের বহু বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণার ফল।
বইয়ের বিবরণ
শুধু শিল্পকলা জগতেরই না, বাংলাদেশের পুরো সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেরই প্রধান পুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। বিস্ময়কর সৃষ্টিশীল জীবন তাঁর। একেবারে সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম; যে পরিবারের ছিল না কোনো উন্নত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অথচ তিনি কালক্রমে হয়ে উঠলেন এ দেশের জাতীয় ইতিহাসেরই এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাববিস্তারী ব্যক্তিত্ব। এ অসাধ্য কোনো দৈবক্রমে সাধিত হয়নি। প্রবল নিষ্ঠা, জীবন ও নিসর্গ অনুধাবনে অসাধারণ পর্যবেক্ষণশক্তি, অসামান্য সৃজনক্ষমতা, প্রান্তিক মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা আর জাতির প্রতি কর্তব্যচেতনা, যা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে সংগ্রামশীলতা ও আত্মত্যাগে—এসবই তাঁর সার্থকতার তাৎপর্যপূর্ণ অনুষঙ্গ। দেশ থেকে রুচির দুর্ভিক্ষ দূর করার দায়িত্ব পালনকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন সাধনা হিসেবে। জয়নুলের এই হয়ে ওঠার বিস্তৃত ইতিহাস এবং তাঁর সৃষ্টিশীল জীবনাখ্যানকে এ বইয়ে সামগ্রিকভাবে বিবৃত করা হয়েছে। এ বই লেখকের বহু বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণার ফল। জয়নুলের জন্মশতবর্ষে বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গৌরব বোধ করছি।
- শিরোনাম জয়নুল আবেদিন : সৃষ্টিশীল জীবনসমগ্র
- লেখক সৈয়দ আজিজুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১২০০২৫
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সৈয়দ আজিজুল হক
জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩০ এপ্রিল, বর্তমান পিরোজপুর জেলার সেহাঙ্গল গ্রামে। পড়ালেখা সেহাঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়, বিএম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লাভ করেছেন এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি। শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে; বর্তমানে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থ: দীনেশচন্দ্র সেন (১৯৯০), ময়মনসিংহের গীতিকা: জীবনধর্ম ও কাব্যমূল্য (১৯৯০), মানিক বন্দ্যােপাধ্যায়ের ছোটগল্প: সমাজচেতনা ও জীবনের রূপায়ণ (১৯৯৮), জীবনানন্দের শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব ও বিবিধ প্রবন্ধ (২০০৬), মন ও মনন (২০১১)। শিল্পকলাবিষয়ক গ্রন্থ: জয়নুল আবেদিন: সৃষ্টিশীল জীবনসমগ্র (২০১৫) কামরুল হাসান: জীবন ও কর্ম (১৯৯৮), কামরুল হাসান (২০০৩), সফিউদ্দীন আহমেদ (২০১৩)। সম্পাদিত গ্রন্থ: দীনেশচন্দ্র সেন-সংকলিত মৈমনসিংহ-গীতিকা (১৯৯৯), আবদুল হকের স্মৃতি-সঞ্চয় ১ ও ২ (২০০৩ ও ২০০৫), রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ চিঠিপত্র (২০০৮), বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলন ও আমার কথা (২০১০)।