নজরুল প্রথম মহাযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে করাচিতে ছিলেন প্রায় ৩০ মাস। হাবিলদার কবি হিসেবেই বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাব। সৈনিক-জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁর পরবর্তী সাহিত্য সৃষ্টিতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। অথচ তাঁর এই সৈনিক-জীবন সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। এ বইয়ের লেখক তথ্যের অস্পষ্টতা ও ভ্রান্তি দূর করে নজরুলের সৈনিক-জীবনের প্রকৃত ইতিহাস পাঠকের
সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
বইয়ের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম মহাযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন এবং হাবিলদার পদে উন্নীত হন। এ তথ্য অনেকেই জানেন। কিন্তু কেন তিনি সৈনিক হলেন, কীভাবেই বা পল্টনে যোগ দিলেন, সৈনিক-জীবনে তিনি কী কী করেছিলেন, তাঁর সেই জীবন নিয়ে যেসব কাহিনি চালু আছে সেগুলো কতটুকু সত্য আর কতটুকুই বা কল্পিত, তা আমাদের অজানা। এককথায় নজরুলের সৈনিক-জীবনের বিবরণ আজও অগ্রন্থিত। এ বইয়ে কবির সৈনিক-জীবন সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। বইটির লেখক নিজেও একজন সৈনিক। লেখক তাঁর সামরিক জ্ঞান ব্যবহার করে নজরুলের সৈনিক-জীবনের বিশ্লেষণ করেছেন এবং দূর করার চেষ্টা করেছেন প্রচলিত অনেক তথ্যের ভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা। এ বইয়ের মাধ্যমে নজরুলের জীবনের প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি অধ্যায় উন্মোচিত হলো।
- শিরোনাম সৈনিক নজরুল
- লেখক মুহাম্মদ লুৎফুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০২৫৪১২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মুহাম্মদ লুৎফুল হক
জন্ম ১৯৫৫, দিনাজপুরে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ২০০৫ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব (২০০৬), বাঙালি পল্টন: ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি রেজিমেন্ট (২০১২), সৈনিক নজরুল (২০১৩), মোহাম্মদ আলীর বাংলাদেশ বিজয় (২০১৬)। সম্পাদনা: রাজশাহী ১৯৭১ (যৌথ ২০১২), কামালপুর ১৯৭১ (২০১২), দিনাজপুর ১৯৭১ (২০১৩), মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স (২০১৩)।