দার্শনিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, সমাজ-সংস্কারক—সবাই চেষ্টা করেন পথের বিষয়ে নিজেদের চিন্তা ও দুশ্চিন্তাকে অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আশা রাখেন নিজেদের ভাবনাগুলোকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়িত করার। এ কাজ সারা বিশ্বে যেমন ঘটেছে, তেমনি ঘটেছে আমাদের দেশেও। এ বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে ওই পথানুসন্ধানেরই কিছু নিদর্শন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কঠিন বিষয়কে সহজ করে লিখেছেন তাঁর অনুপম সহজ ভাষায়। তাতে বইটি হয়ে উঠেছে আরও হৃদয়গ্রাহী।
বইয়ের বিবরণ
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর অবিরাম পথ খোঁজা বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে একটা পথের অনুসন্ধানের চেষ্টা আছে। দার্শনিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, সমাজ-সংস্কারক—সবাই চেষ্টা করেন পথের বিষয়ে নিজেদের চিন্তা ও দুশ্চিন্তাকে অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আশা রাখেন নিজেদের ভাবনাগুলোকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়িত করার। এ কাজ সারা বিশ্বে যেমন ঘটেছে, তেমনি ঘটেছে আমাদের দেশেও। এ বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে ওই পথানুসন্ধানেরই কিছু নিদর্শন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে যে অসুখ বিরাজমান, তার কারণকে লেখক পতনকালীন পুঁজিবাদের দুঃশাসন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পুঁজিবাদ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বেড়ে উঠেছে। এখন চেষ্টা চলছে তাকে বিদায় করে দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের মানবিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ উন্মুক্ত করার। লেখক এই চেষ্টার সমর্থক। বইয়ের সব প্রবন্ধেই বিশ্বব্যবস্থার কথা আছে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর অতুলনীয় ভাষায় কঠিন বিষয়কে সহজ করে লিখেছেন। প্রবন্ধগুলোতে একটা গল্প বলার ধরন রয়েছে। তাতে বক্তব্য হালকা হয়নি, বরং নিজস্ব গুরুত্ব বজায় রেখে আরও হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠেছে।
- শিরোনাম অবিরাম পথ খোঁজা
- লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৪০৩০৩
- প্রকাশের সাল ১st Published, ২০১৭
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৩২
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
জন্ম ২৩ জুন ১৯৩৬, বিক্রমপুরের বাড়ৈখালী। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা ও ঢাকায়; পরে ইংল্যান্ডের লিডস ও লেস্টারে। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে ইমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে স্থায়ী হন। প্রধানত প্রবন্ধ লেখেন। গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, অনুবাদও করেছেন। বইয়ের সংখ্যা প্রায় এক শ। নিয়মিত সম্পাদনা করছেন ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত। ওসমানী উদ্যান, লালনের আখড়া এবং আড়িয়াল বিল রক্ষা আন্দোলনসহ অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।