কজনের চোখে তিল ছিল?
মাথা খাটিয়ে ডিজিট বসান
কোন কলামের যোগফল সবচেয়ে বড়?
ক্যালকুলেটর ছাড়াই বলুন তো কত?
বলুন তো জন্মদিন কবে?
সেই তরুণের বয়স কত?
বলুন তো ম্যাজিক সংখ্যাটি কত?
বইয়ের বিবরণ
আপনি যদি মনে করেন, ওঃ বাব্বা, গণিতের ব্যাপারে দূরে থাকাই ভালো, ভুল করছেন। গণিতের মধ্যে যে কত আনন্দ, তা সবার কাছে তুলে ধরাই এ বইয়ের উদ্দেশ্য।
যেমন ধরুন, টিএসসি চত্বরে ক্লাসের কয়েকজন বন্ধু জড়ো হয়েছেন। ‘মামা, চার কাপ চা’ বলে চুটিয়ে গল্প শুরু করেছেন। হঠাৎ একজন গণিতের একটা সহজ ধাঁধা ধরল, বল তো আমি কে?
—মানে? তুই রিকি! এটাই তো তোর নাম।
—না, মানে একটা ধাঁধা। মনে কর আমি দুই অঙ্কের (ডিজিট) একটি সংখ্যা। আমি ৪০-এর কম। আমি জোড় সংখ্যা। ৮ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য। আমার অঙ্ক (ডিজিট) দুটির পার্থক্য মাত্র ২। এখন বল, আমি কে? মানে, আমি নামক সংখ্যাটি কত?
আপনি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী না হলেও চট করে উত্তরটা বলে দিতে পারেন। খুব সহজ। উত্তর ২৪।
আপনি প্রথমে ৮-এর ২, ৩, ৪...গুণ সংখ্যাগুলো দেখুন। ওগুলো হলো ১৬, ২৪, ... ব্যস, আর হিসাবের দরকার নেই।
কারণ ২৪-এর ২ ও ৪-এর পার্থক্য ২। উত্তর পেয়ে গেলেন!
আপনি সাহিত্য না ইতিহাসের শিক্ষার্থী, সেটা কোনো ব্যাপার না। গণিতের ধাঁধাটি চট করে বের করে ফেলেছেন। আপনি সবাইকে তাক লাগিয়ে অপার আনন্দ
লাভ করবেন।
বইটি ঠিক আপনার জন্যই।
- শিরোনাম গণিতের ধাঁধা
- লেখক আব্দুল কাইয়ুম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩১৮৮২৮
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আব্দুল কাইয়ুম
জন্ম ঢাকায়। ঢাকায়ই লেখাপড়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএসসি। আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে মেধাতালিকায় দ্বিতীয়। বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। সেটা হয়নি। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রনেতা হিসেবে প্রথম সারিতে ছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বর্তমানে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির কোষাধ্যক্ষ। বিজ্ঞান ও চলতি রাজনীতি বিষয়ে পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রায় ২০টি বই বেরিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বই গণিতের জাদু, বিজ্ঞানের রাজ্যে কী ও কেন, কার্যকারণ, শত প্রশ্ন, জানা অজানা, প্রশ্ন আর প্রশ্ন, আরও প্রশ্ন, বিজ্ঞানের রাজ্যে যত প্রশ্ন।