সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন ২: আলিবর্দি খান ও সিরাজ-উদ-দৌলার বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা

লেখক: আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, সৈয়দ গোলাম হোসেন খান তবাতবায়ি (অনুবাদক)

বিষয়: সমাজ-ইতিহাস গ্রন্থমালা

১,০৫০.০০ টাকা ২৫% ছাড় ১,৪০০.০০ টাকা

মহাপণ্ডিত সৈয়দ গোলাম হোসেন খান তবাতবায়ির সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন ভারতে মুসলমান শাসনামল নিয়ে  রচিত এক মহাগ্রন্থ। লেখক এ বইয়ে বর্ণিত ঘটনাবলির একজন প্রত্যক্ষদর্শী। বইটির বিষয় সাতজন মোগল সম্রাটের (১৭০৭-১৭৮১) রাজত্বকাল। বর্তমান দ্বিতীয় খণ্ডে আলোচিত হয়েছে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় নবাবি আমল। নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যু, সিরাজ-উদ-দৌলার মসনদ লাভ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তাঁর বিরোধ, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, পলাশীর যুদ্ধ, নবাবের পরাজয় ও মৃত্যু, বক্সারের যুদ্ধ, সর্বোপরি এ অঞ্চলের ক্ষমতা ইংরেজদের হস্তগত হওয়া—এসব ঘটনার বিবরণ এই খণ্ডের মূল বিষয়। বইটি ফারসি থেকে অনুবাদ করেছেন ইতিহাস ও  প্রত্নতত্ত্বে পণ্ডিত আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া।

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

ভারতের মুসলমান শাসনামল নিয়ে ফারসি ভাষায় লেখা বইগুলোর মধ্যে তিন খণ্ডে সম্পূর্ণ সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর লেখক সৈয়দ গোলাম হোসেন খান তবাতবায়ি ছিলেন সে যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ও মহাপণ্ডিত। বর্ণিত ঘটনাবলির তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শীও বটে।  সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর (১৭০৭ খ্িরষ্টাব্দ) ঘটনা দিয়ে সিয়ারের প্রথম খণ্ডের সূচনা। শেষ হয়েছে ১৭৮১ খ্িরষ্টাব্দে ইংরেজদের নানা তৎপরতার আলোচনার মধ্য দিয়ে। কয়েকজন মোগল সম্রাট ও তাঁদের রাজত্বের ঘটনাবলি, নানা যুদ্ধাভিযান সিয়ারে বর্ণিত হলেও এই মহাগ্রন্েথর প্রধান বিষয়বস্ত্ত বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাবি আমলের ইতিহাস। এর প্রধান ও বৃহত্তম অংশ আলোচিত হয়েছে বর্তমান দ্বিতীয় খণ্ডে (১৭৪৫-১৭৬৫ খ্ির.)। নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যু, সিরাজ-উদ-দৌলার সিংহাসনে আরোহণ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তাঁর বিরোধ, প্রাসাদ ও প্রাসাদের বাইরে নবাবের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র, পলাশীর যুদ্ধ, নবাবের পরাজয় ও মৃত্যু, পুতুল নবাব হিসেবে মির জাফরের মসনদ লাভ, ইংরেজদের সঙ্গে মির কাসিম, অতঃপর সুজা-উদ-দৌলার যুদ্ধ ও তাঁদের পরাজয় এবং এ অঞ্চলের ক্ষমতা ইংরেজদের হস্তগত হওয়া—এসব প্রধান ঘটনার বিবরণ এই খণ্ডটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। তিন খণ্ডে রচিত এই মহাগ্রন্থ প্রধানত ফারসি ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে পণ্ডিত আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া। অসংখ্য মূল্যবান টীকা, প্রতিটি অধ্যায়ের শিরোনামের ফারসি পাঠ ও অর্থ এবং উদ্ধৃত কবিতাবলির ফারসি পাঠের উচ্চারণ ও অর্থ বইটির ব্যবহারযোগ্যতা বাড়িয়েছে।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া

জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ। ব্রিটিশ আমলের শেষ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর নেন ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে । বহুভাষাবিদ। প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ইত্যাদি জ্ঞানবিদ্যার নানা ক্ষেত্রে ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে তাঁর গবেষণাগ্রন্থ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ও অনূদিত গ্রন্থ করম আলি খানের মোজাফ্ফরনামা। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ, বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি (২ খণ্ড), বাংলা সাহিত্যে গাজী-কালু ও চম্পাবতী উপাখ্যান, বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য বই। ফারসি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন বিখ্যাত সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন ও তবকাত-ই-নাসিরি। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন