‘প্যাচেট বলতে লাগলেন, আমরা যাঁরা ভিনসেন্টের বন্ধু, তাঁরা যেন দুঃখ না করি। ভিনসেন্ট মরেনি, সে মরতে পারে না। তার ভালোবাসা, তার প্রতিভা দিয়ে যে সৌন্দর্য সে সৃষ্টি করে গেছে—তা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে, পৃথিবীকে উজ্জ্বল করে তুলবে।’
বইয়ের বিবরণ
বিখ্যাত আমেরিকান লেখক আরভিং স্টোনের (১৯০৩-৮৯) লাস্ট ফর লাইফ উপন্যাসের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ডাচ চিত্রকর ভিনসেন্ট ভ্যান গোঘের জীবনকে কেন্দ্র করে। ভিনসেন্টের বেড়ে ওঠা ও তাঁর বিদ্যায়তনিক জীবন বাধাহীন ছিল না। তিনি যখন ধর্মপ্রচারকের জীবন গ্রহণ করেন, তা-ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সুযোগ পায়নি। খনিশ্রমিকদের সুখ-দুঃখের সঙ্গে নিজেকে অংশীদার করতে গিয়েও ব্যর্থ হন। জীবনের নানা পর্বে তাঁর প্রেম আসে, সেই প্রেমও তাঁর দারিদ্রে্যর কারণে সফল হতে পারেনি। অথচ তাঁর ছিল গভীর প্রেমিক মন। ভালোবেসেছিলেন একজন দেহপসারিণীকেও। সেখানেও জোটে প্রত্যাখ্যান। ভিনসেন্ট নামেন চিত্রকলার ব্যবসায়। তাতেও ব্যর্থ হন। এত সব ঘটনার মধ্যেও এগিয়ে চলে তাঁর আঁকাআঁকি, নিজের শিল্পশৈলীর বিবর্তন। কিন্তু মনের কোথাও ছিল তাঁর অতৃপ্তি ও নিরবচ্ছিন্ন ব্যর্থতাজনিত গভীর হতাশা। শেষে নিজের হাতে নিজেকে গুলি করে আলিঙ্গন করেন মৃত্যুকে। ভ্যান গোঘের এ রকম ঘটনাবহুল জীবন আরভিং স্টোনের উপন্যাসে যেমন জীবন্ত ও শিল্পরূপময় হয়ে উঠেছে, তেমনি অদ্বৈত মল্লবর্মণের অনুবাদেও তার স্বাদ অক্ষুণ² রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ ভাষায় অনূদিত এ বই বাংলাভাষী পাঠককেও আলোড়িত করবে।
- শিরোনাম জীবন-তৃষা
- লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণ
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।