ফিরে দেখা জীবন - এটিএম শামসুল হুদা

লেখক: এটিএম শামসুল হুদা

বিষয়: জীবনী/আত্মকথা/স্মৃতিকথা

২৭০.০০ টাকা ২৫% ছাড় ৩৬০.০০ টাকা

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে ব্রিটিশদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া আমাদের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থা কী এবং কেন তারা এই দশায় পৌঁছেছে, লেখকের সুদীর্ঘ কর্মজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে খণ্ড খণ্ড চিত্রের মাধ্যমে এ বইয়ে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। বর্ণিত সব ঘটনা লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত। গল্পের মতো করে লেখা এসব ঘটনা পাঠককে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরের অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে যেমন অবহিত করবে, তেমনি এসব অনাচার থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কেও তাঁরা কিছু ধারণা লাভ করতে পারবেন। 

সংগ্রহে নেই পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

একটা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে তার আনুষ্ঠানিক বিধিবিধান আছে। কিন্তু অন্তরালে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, পছন্দ-অপছন্দ, অনুরাগ-বিরাগও এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিশাল ভূমিকা রাখে। সাধারণ নাগরিকেরা এসবের কিছুই জানতে পারেন না। এটিএম শামসুল হুদা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বইয়ে তিনি তাঁর স্কুলজীবন থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে অতিবাহিত সময়কাল পর্যন্ত কিছু প্রতিষ্ঠানে পর্দার অন্তরালে সংঘটিত কিছু সত্য ঘটনা গল্পচ্ছলে উপস্থাপন করেছেন। বিধৃত কাহিনিগুলো পাঠ করে পাঠকের মনে কিছুটা হতাশা জন্মাতে পারে, তবে 

সবচেয়ে বড় কথা পাঠক এর মধ্যে আশার আলোও দেখতে পাবেন। সহজ ভাষায় লেখা সুখপাঠ্য একটি বই। 

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এটিএম শামসুল হুদা

জন্ম ১০ জুলাই ১৯৪৩, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ-তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ১৯৬৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিষয়ে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। ৩৪ বছরের চাকরিজীবনে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন শেষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে ২০০০ সালে অবসর গ্রহণ। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন (২০০৭-১২)। এটিএম শামসুল হুদা দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত সভা-সেমিনারে বহু প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। ইংরেজিতে লেখা তাঁর বইয়ের মধ্যে স্মল ফারমার অ্যান্ড দ্য প্রবলেম অব অ্যাকসেস এবং কো-অর্ডিনেশন ইন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। এটিএম শামসুল হুদা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকার বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য এবং বাংলা একাডেমির সাম্মানিক ফেলো।

এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন