ফারুক চৌধুরীর এ আত্মস্মৃতি বাংলাদেশ ও পাক-ভারত উপমহাদেশের বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের কূটনৈতিক ইতিহাস এবং সে ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়কদের এক অন্তরঙ্গ ও উপভোগ্য চিত্র তুলে ধরেছে।
বইয়ের বিবরণ
ব্রিটিশ উপনিবেশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—এ ভূখণ্ডের এই তিন ইতিহাসপর্বে ছড়িয়ে আছে ফারুক চৌধুরীর জীবন। ১৯৫০-এর দশকের মধ্যপর্যায়ে নবীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে তাঁর কূটনৈতিক জীবনের সূচনা। কূটনীতিকের চোখে তিনি দেখেছেন পাকিস্তানের বিলয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ঝোড়ো রাজনীতির উত্থান-পতন। এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সাক্ষী হয়ে আছেন বাংলাদেশ, ভারত উপমহাদেশ ও বিশ্বের নানা অঞ্চলের চমকপ্রদ সব পররাষ্ট্রীয় ঘটনার। একদিকে তিনি পেয়েছেন মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের মতো জাতীয় নেতাদের নিবিড় সান্নিধ্য; অন্যদিকে সংস্পর্শে এসেছেন বিশ্ববরেণ্য নেতাদেরও। ফারুক চৌধুরীর এ আত্মস্মৃতি বাংলাদেশ ও এ উপমহাদেশের বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের কূটনৈতিক ইতিহাস এবং সে ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়কদের এক অন্তরঙ্গ ও উপভোগ্য চিত্র তুলে ধরেছে।
- শিরোনাম জীবনের বালুকাবেলায়
- লেখক ফারুক চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০৬৫৯৪৪
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
ফারুক চৌধুরী
জন্ম ১৯৩৪ সালের ৪ জানুয়ারি, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রসচিব। ১৯৮৫ সালে সার্কের জন্মলগ্নে প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ব্র্যাক পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য; বেসরকারি গৃহায়ণ প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে জীবনের বালুকাবেলায়, দেশ দেশান্তর, প্রিয় ফারজানা, নানাক্ষণ নানাকথা, স্বদেশ স্বকাল স্বজন, সময়ের আবর্তে ইত্যাদি। তিনি একজন বিশিষ্ট কলাম-লেখক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াদির বিশ্লেষক। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার।