ছয় দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিক-জীবন এবিএম মূসার। এ দেশের সাংবাদিকতা পেশার সূচনা এবং সেই পেশাকে প্রতিষ্ঠিত করার কর্মযজ্ঞে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ বইয়ে তাঁর দীর্ঘ জীবন প্রত্যক্ষ করা যাবে; পাওয়া যাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিকথা। পাশাপাশি ভ্রমণ করা যাবে তাঁর বাল্য, কৈশোর ও যৌবনে ঘটে যাওয়া সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনাবলিতে।
বইয়ের বিবরণ
প্রায় টানা ৬০ বছরের বর্ণাঢ্য সাংবাদিক-জীবন তাঁর। তাঁর এই জীবন আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এর ‘বাংলাদেশ’ হয়ে ওঠা যেন সমান্তরাল। এ দেশের সাংবাদিকতা পেশার গোড়াপত্তনের এবং সেই পেশাকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনের ইতিহাসেরও সক্রিয় সহচর এবিএম মূসা। ফলে তাঁর এই আত্মজীবনীর সুবাদে আমরা যেমন পেয়ে যাই এ দেশের সাংবাদিকতার ধারাবাহিক ইতিহাস, তেমনি পেয়ে যাই তাঁর বাল্য, কৈশোর ও যৌবনে দেশের তথা আমাদের এই উপমহাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনারও প্রায় অনুপুঙ্খ অননুকরণীয় বিবরণ-ভাষ্য। পাঠককে যেমন তা মোহিত করবে, তেমনি পাকিস্তান আমলে বাঙালিরা যাতে ক্রীড়াক্ষেত্রে উজ্জ্বলতর কৃতির অধিকারী হতে না পারে, সে লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার গৃহীত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কীভাবে তলে তলে ফুঁসে উঠছিলেন বাঙালি ক্রীড়া-সংগঠকেরা, এ-সংক্রান্ত বিবরণের পাঠও মুগ্ধ করবে তাঁদের সমভাবে। এই আত্মজীবনী এবিএম মূসার হলেও, লেখার প্রসাদগুণে তা এ দেশের ইতিহাসেরও উজ্জ্বল আধার হয়ে উঠেছে।
- শিরোনাম আমার বেলা যে যায়
- লেখক এবিএম মূসা
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০৭৪৭৮৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
এবিএম মূসা
জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১, ফেনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (১৯৫০) এবং লন্ডনের কমনওয়েলথ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা। বাংলাদেশ টেলিভিশন করপোরেশনের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পাকিস্তান অবজারভার-এর বার্তা সম্পাদক, মর্নিং নিউজ ওযুগান্তর-এর সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ছিলেন। একাধিকবার জাতীয় প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত। বিবিসি, লন্ডনের সানডে টাইমস-সহ বিদেশি গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালে রণাঙ্গন থেকে খবর পাঠাতেন। একুশে পদক ও জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট পুরস্কারে ভূষিত। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের (১৯৭৩) সদস্য। ২০১২ সালে বেরিয়েছে তাঁর বই মুজিব ভাই। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগেই তিনি শেষ করে যান তাঁর এই আত্মজীবনীর কাজ।