এই কবির প্রথম কবিতার বই প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে থেকে বাংলাদেশ যখন মুক্তিযুদ্ধ করছে, সেই কাল অবধি প্রকাশিত তাঁর ছয়টি বইয়ের শেষ বই বন্দী শিবির থেকে পর্যন্ত যে পৌঁছে যাই—এক মহৎ কবির সন্নিধানেই আমরা পৌঁছোই। এই যাত্রা শামসুর রাহমানের কলমের তো বটেই, আমাদের ইতিহাসেরও। আমরা এই আবিষ্কারে জ্যোৎস্নাধবল হয়ে উঠি যে, কবি ও তাঁর কবিতা বস্ত্ততপক্ষে ইতিহাসেরই অপর পিঠ—গভীরতর অর্থে কবিতাতেই প্রাপণীয় মানুষের ইতিহাস।
—সৈয়দ শামসুল হক
বইয়ের বিবরণ
শামসুর রাহমানের প্রথম ছয় কাব্যগ্রন্থ:
প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০)
রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩)
বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭)
নিরালোকে দিব্যরথ (১৯৬৮)
নিজবাসভূমে (১৯৭০)
বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২)
শামসুর রাহমান তাঁর জীবদ্দশায়ই বাংলাদেশের কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে স্বীকৃত হন। এ দেশের বাঙালির কাব্যরুচি তৈরি হয় তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে। প্রায় পাঁচ যুগের নিরবচ্ছিন্ন কবিতাচর্চার ফল তাঁর বিপুল কবিতাসম্ভার। এর মধ্যে প্রথম ছয়টি বইয়ের কবিতাগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ১৯৪৭-এ দেশভাগ থেকে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বাংলার ইতিহাসে এক ক্রান্তিকাল। এ সময়-পরিসরেই প্রধানত শামসুর রাহমানের উপযুর্ক্ত ছয়টি বইয়ের কবিতাগুলো লেখা। ইতিহাসের এ পর্বে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রাম ভাষা পেয়েছে তাঁর কবিতায়, একই সঙ্গে ব্যক্তিমানুষের অন্তর্গত অনুভবগুলোও নতুনতর ব্যঞ্জনা লাভ করেছে। কবির অধিকাংশ নন্দিত ও গুরুত্বপূর্ণ কবিতা এ ছয়টি বইয়ে সূচিবদ্ধ হয়েছে। সব মিলিয়ে শামসুর রাহমানের কবিতার এ সংকলন সংগ্রহে রাখার মতো।
- শিরোনাম প্রথম গান থেকে বন্দী শিবির (প্রথম ছয় কাব্যগ্রন্থ)
- লেখক শামসুর রাহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০২৫৫৩৫
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শামসুর রাহমান
জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯২৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (১৯৫৩)। পেশা ছিল সাংবাদিকতা; দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন। গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-সমালোচনা-কলাম লিখেছেন, কিন্তু প্রধান অভিনিবেশ ছিল কবিতায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও পাঠকনন্দিত কবি। কাব্যগ্রন্েথর সংখ্যা প্রায় সত্তর। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০)। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কারসহ বেশ কিছু স্বীকৃতি। সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন জাপানের মিতসুবিশি পদক। মৃত্যু ১৭ আগস্ট ২০০৬, ঢাকায়।