চিত্রকরের হৃদয়ের ভাষ্য ফুটে উঠেছে কবিতার রূপ ধরে। খুলে ধরেছে রূপময় বর্ণিল এক জগৎ যেখানে অনুভব, পর্যবেক্ষণ, সংবেদনা কখনো তীব্রতায় নাটকীয়, কখনো স্নিগ্ধতায় আন্তরিক।
বইয়ের বিবরণ
কাইয়ুম চৌধুরী মূলত চিত্রকর। রংরেখার বিচিত্র মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। গ্রাফিক ডিজাইনে বাংলাদেশে তিনি অনন্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এ ক্ষেত্রে তাঁর স্থান হবে অনেক উঁচুতে।
সৃষ্টিশীলতার পেছনে বরাবর তাঁর কবিত্বশক্তির প্রণোদনা ছিল কার্যকর। কাগজে-ক্যানভাসে চিত্রীর ভূমিকার ফাঁকে ফাঁকে কবিতায়ও নিজেকে প্রকাশ করে গেছেন তিনি। জীবনের শেষ দশকে যেন কবিতার জোয়ার এসেছিল তাঁর কল্পনা আর আবেগকে ভাসিয়ে নিয়ে।
কাইয়ুম চৌধুরীর কবিতায় রূপময় নদীমাতৃক বাংলা, সরল-সংগ্রামী মানুষের জীবনগাথা যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি দূর বিদেশের বর্ণিল চিত্রল ভাষ্যও উঠে এসেছে। কখনো ব্যক্তিজীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, গভীর আন্তরিক আবেগের স্ফুরণও ঘটেছে। তাঁর কবিতার বিশাল বৈচিত্র্যময় ভান্ডারের কিছুটা নিয়ে এ বইটি সাজানো হয়েছে।
- শিরোনাম হাতের ছোঁয়ায় রোদের শিহরণ
- লেখক কাইয়ুম চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849176367
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

কাইয়ুম চৌধুরী
কাইয়ুম চৌধুরীর জন্ম ৯ মার্চ ১৯৩২, ফেনী। স্কুলজীবনেই তাঁর মধ্যে আঁকাআঁকির ঝোঁক দেখা গিয়েছিল। ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক। সে বছরই ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ডিগ্রি পান ১৯৫৪ সালে। আর্ট কলেজে তিনি শিক্ষক হিসেবে পান শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে। শিল্পীজীবনের শুরুতে একদল শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক আর গায়ক ছিলেন তাঁর সহযাত্রী। ক্রমান্বয়ে তিনি প্রতিষ্ঠিত হন বাংলাদেশের একজন প্রধান শিল্পী হিসেবে। শিল্পরচনার পাশাপাশি বইয়ের প্রচ্ছদ ও গ্রন্থসজ্জায় একজন পথিকৃতে পরিণত হন তিনি। নানা বিষয়ে তিনি গদ্য রচনা করেছেন, লিখেছেন কবিতা ও ছড়া। তাঁর ২৫টি ছড়া দিয়ে সাজানো তনুর সাথে রঙরেখাতে (২০১৩) বেরিয়েছে প্রথমা প্রকাশন থেকে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।