আমি জানি, পৃথিবীর অজস্র অঞ্চলজুড়ে ডাকে
হাঁসের চেহারা নিয়ে শত শত ময়ূর—বিব্রত।
তুমুল হর্ষের মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে যাবে, যদি
তোমাদের কানে আসে কখনো করুণ সেই ডাক।
বইয়ের বিবরণ
তরুণ কবির মধ্যে যে সম্ভাবনা থাকে, রাসেল রায়হানের ভেতরে তার পুরোটাই অটুট। তাঁর কবিতা সহজ-সাবলীল, অনেকটা নিরীহ বাক্যের মতো বলে যাওয়া। তবে কাব্যভাষা নিছক সাদামাটা নয়, অপার রহস্যে টলমল। এই মায়াবী ভুবন চিত্রকল্পের মাতাল হাওয়ায় ভরপুর। আমাদের চেনা চৌহদ্দিতে যে অচেনা জগৎ, আছে তারও দিশা। পড়তে পড়তে উপলব্ধি হয়, এ কবিতা আজকের পৃথিবীর গল্পই বলছে। পাঠক, বসুন তবে এই ঘোর লাগা কবিতাগুলোর পাশে; নতুন এই কবির কবিতা আপনার অভিজ্ঞতাকে নাড়া দেবে। আর আপনার জন্য এখানে প্রতীক্ষা করছে অনেকে—ভাঙা তরবারি, সেলাই মেশিনের বেদনা, ক্ষুধানিবারক চায়ের দোকান এবং অতি অবশ্যই ময়ূর—বিব্রত ময়ূর। গ্রন্থ প্রকাশের আগে এই পাণ্ডুলিপি ‘জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০১৫’-য় ভূষিত হয়েছে।
- শিরোনাম বিব্রত ময়ূর
- লেখক রাসেল রায়হান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১৭৬৫৯৬
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

রাসেল রায়হান
রাসেল রায়হান। জন্ম ৬ ডিসেম্বর। পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। কথাসাহিত্য ও কবিতা—দুই মাধ্যমেই স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত উপন্যাস তিনটি—একচক্ষু হরিণীরা; অমরাবতী; আরও গভীরে। কবিতাগ্রন্থ চারটি—বিব্রত ময়ূর; সুখী ধনুর্বিদ; তৃতীয় অশ্বারোহী; ইহুদির গজল। বিব্রত ময়ূর-এর পাণ্ডুলিপির জন্য মার্কিন গবেষক অধ্যাপক ক্লিনটন বি সিলি ও প্রথমা প্রকাশনের যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত ‘জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ১৪২২’ পেয়েছেন। একই গ্রন্থের জন্য পরবর্তীকালে পেয়েছেন ‘মাহবুবুল হক শাকিল পদক ২০১৭’। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোয় কর্মরত।