এখনো এ রাজপথে নতুন স্লোগান বাঁধে নামহীন কবি,
সমস্ত উদ্যান আজো স্বপ্ন দ্যাখে সমাজতন্ত্রের,
নতুন মুজিব আজো গর্ভে আসে জননীর বাংলার
আঁধার নিশীথে,
আমি জানি, জানি আমি, আমিই তো জানি।
একবার
বলো তো সৈয়দ হক, তোমার কি সাজে শোক,
দুঃখ, বলো, বলো,
মধ্যরাতে অসুখ শরীর নিয়ে জেগে উঠে তোমার
কি কর্তব্য হয়
নীলখাতা খুলে বারবার একই কথা নিজেকেই বলা
বইয়ের বিবরণ
কবি সৈয়দ শামসুল হকের দীর্ঘ কবিতা ‘আমার শহর’ শ্রেষ্ঠতার এক অপরূপ নিদর্শন। এটি সৈয়দ শামসুল হকের সেরা সৃষ্টিগুলোর একটি এবং বাংলা কবিতার একটা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এই কবিতা দীর্ঘশ্বাসের মতো, পাঠকের মর্মমূলকে নাড়া দেয়। ১৯৪৭-এর পর আমাদের প্রিয় শহর ঢাকার পথে-ঘাটে-দোকানে-ছাপাখানায়-নাট্যশালায়-রেস্তোরাঁয়-ময়দানে পদচিহ্ন রেখে গেছেন বাংলার শ্রেষ্ঠ মানুষেরা—অজিত গুহ, আব্বাসউদ্দীন আহমদ থেকে শুরু করে তাজউদ্দীন আহমদ, জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরা কেউ আর নেই। আমাদের শ্রেষ্ঠ মানুষেরা অপসৃত। সংগীতে, শিল্পে, সৃজনে, প্রতিবাদে, প্রেমে কী উজ্জ্বল, মুখর, অমল, ধবল, ধৌত ছিল এই শহর! বৃক্ষে, বুড়িগঙ্গায়, প্রেক্ষাগৃহে, শহীদ মিনারে শোভিত এ শহর আজ শ্রীহীন। কংক্রিটের জঙ্গল। ধূসর, ধূসর। এই কবিতা পাঠ করা মানে বুকের ভেতরে ভাঙনের শব্দ তোলা, বুকের পাঁজর ভেঙে পড়ার শব্দ শোনা। শিল্পী রফিকুন নবীর শিল্পিত আঁচড়ে আরও অনবদ্য ও বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে ‘আমার শহর’।
- শিরোনাম আমার শহর
- লেখক সৈয়দ শামসুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, কুড়িগ্রাম। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্যনাট্য ও প্রবন্ধ মিলে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় দুই শ। আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ্ স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন। মৃত্যু ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।