তরুণদের একটা বড় অংশ আজ মাদকাসক্ত। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসার সঙ্গেও। স্বভাবে তারা হয়ে উঠছে হিংস্র। এই উপন্যাসের
মূল চরিত্র ইথা হাতেনাতে ধরে ফেলে তার মাদকসেবী প্রেমিক ও মাদকবিক্রেতা তন্ময়কে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাতের; জট-জটিলতার। মোহিত কামালের
এ উপন্যাসের কাহিনির যে বিস্তার, তা শুধু ভালোই লাগবে না, গভীরভাবে ভাবতেও বাধ্য করবে।
বইয়ের বিবরণ
চারপাশে ফাঁদ, চোরাগলি। না-বুঝে অনেক তরুণ-তরুণী আটকে যায় সেই মরণফাঁদে। বিপন্ন হয়ে ওঠে তাদের জীবন। এমনই এক বিপন্নতা থেকে মাথা উঁচিয়ে বেরিয়ে আসে তরুণী ইথা। ইথার মা মারা যায় যখন ওর বয়স তিন বছর। সে মাতৃস্নেহ পেয়েছে কিশোরী ফুপু জিনাত আরার কাছে। জিনাত আরাকেই সে ‘মা’ বলে জানে।
ইথার প্রেমিক তন্ময় মাদক গ্রহণ করে, বিশাল এক মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য সে। ইথা এসব জানার পর ওই মাদক ব্যবসায়ীরা তার ব্যাপারে মারমুখী হয়ে ওঠে। তাকে সন্দেহ করে পুলিশের সোর্স হিসেবে। ইথার বন্ধু পুনমকে তারা আঘাত করে। ইথাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে অ্যাসিড। ইথাকে বাঁচাতে গিয়ে জিনাত আরা হারান তাঁর দুটি চোখ। আসামিরা ধরা পড়ে, কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী চক্র কি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়?
মাদক নিয়ে কত ঘটনাই না ঘটছে বাংলাদেশে। তারই একটা গভীর চিত্র এই উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন কথাশিল্পী মোহিত কামাল।
- শিরোনাম চোরাগলি
- লেখক মোহিত কামাল
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849302209
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মোহিত কামাল
জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। শৈশব ও কৈশোরকাল কেটেছে চট্টগ্রাম ও খুলনার খালিশপুরে। তাঁর লেখালেখির মুখ্য বিষয় গল্প ও উপন্যাস। বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাধর্মী রচনার পাশাপাশি শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশের বেশি। মাসিক সাহিত্য সাময়িকী শব্দঘর-এর সম্পাদক। সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক’সহ আরও কিছু পুরস্কার। তিনি ঢাকাস্থ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রফেসর অ্যান্ড হেড অব সাইকোথেরাপি।
আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন
