সমৃদ্ধ উদুর্ কথাসাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ লেখক সাদত হাসান মান্টো। তাঁর গল্পের পাঠ মানেই জীবনের সূক্ষ্ম ও সত্য দিকগুলোর মর্মে প্রবেশ করা। যেকোনো সাধারণ বিষয়কে অসাধারণ করে তোলার ক্ষমতা ছিল তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। মানবিক নানা বিষয় তাঁর রচনার উপজীব্য। বিশেষ করে সাতচল্লিশের ভারত ভাগ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে লেখা তাঁর অসাধারণ গল্পগুলো পাঠককে একই সঙ্গে মুগ্ধ, বিস্মিত ও আনন্দিত করে।
বইয়ের বিবরণ
সাদত হাসান মান্টোকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার মহত্তম ছোটগল্পকারদের একজন। তুচ্ছ ঘটনাও তাঁর গল্পে অপূর্ব মহিমা লাভ করে। বাইজি, পতিতা, জুয়াড়ি সবাই তাঁর গল্পে জীবন্ত চরিত্র। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত হয় এই উপমহাদেশ। মান্টো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশভাগের বেদনা এবং দেশ বিভাগজনিত মানুষের দুর্ভাগ্য ও লাঞ্ছনাকে তুলে ধরেছেন। সে সময়ে লেখা তাঁর দাঙ্গাবিরোধী গল্পগুলো ইতিহাসের এক মূল্যবান মানবিক দলিল হয়ে আছে। এ বইয়ে তাঁর কিংবদন্তিতুল্য গল্পগুলোর পাশাপাশি কিছু কম পরিচিত গল্পের অনুবাদও ছাপা হলো। গল্পগুলোর মধ্য দিয়ে পাঠক বিংশ শতাব্দীর এক মহান ও শ্রেষ্ঠ গল্পলেখকের রচনার সঙ্গে পরিচিত হবেন।
- শিরোনাম টোবাটেক সিং ও অন্যান্য গল্প
- লেখক সাদত হাসান মান্টো
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849120438
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সাদত হাসান মান্টো
জন্ম ১৯১২ সালের ১১ মে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার সোমরালা গ্রামে। মাত্র ৪৩ বছরের জীবনে তিনি নানা রকম পেশায় জড়িত হন। অনুবাদক, বেতার নাট্যকার, চলচ্চিত্রের কাহিনিকার ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর জীবন ছিল কর্মবহুল। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে ওঠে তাঁর সাহিত্য। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ তাঁর ব্যক্তিগত ও সাহিত্যিক জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তিনি পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেও মানসিক ও আর্থিকভাবে থিতু হতে পারেননি। লেখায় অশ্লীলতার অভিযোগে তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগেছেন। মৃত্যু ১৮ জানুয়ারি ১৯৫৫।