ডব্লিউ জি গ্রেস যদি হঠাৎই আবার রক্তমাংসের রূপ নিয়ে দেখা দেন? টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলটি করেছিলেন যিনি, সেই আলফ্রেড শ? প্রথম রান, প্রথম সেঞ্চুরির চার্লস ব্যানারম্যান? ভিক্টর ট্রাম্পার, উইলফ্রেড রোডস, জর্জ লোহ্ম্যান, ফ্রেড স্পফোর্থ, ক্লেম হিল, রণজিৎসিংজি, সিবি ফ্রাই, সিডনি বার্নস, জ্যাক হবস, ডন ব্র্যাডম্যান...। স্বর্গলোকে ক্রিকেটের অমর সব চরিত্রের তুমুল আড্ডা আর আলাপচারিতা যদি ফিরিয়ে আনে মর্তে্যর সেই সব দিন!
বইয়ের বিবরণ
উপন্যাস?
না, উপন্যাস নয়।
ইতিহাস?
না, ইতিহাসও নয়।
তাহলে?
বইটিকে আসলে নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞায় বাঁধা কঠিন। পড়তে শুরু করলে কখনো উপন্যাস মনে হতে পারে, কখনো-বা ইতিহাস। টেস্ট ক্রিকেটের আদিকালের অমর চরিত্রগুলো যখন চোখের সামনে ঘুরে বেড়াবে, কথা বলবে, রসিকতা করবে; মনে হবে বুঝি কোনো উপন্যাস। গল্পের ছলে যখন অবিকল উঠে আসবে মর্তে্য ব্যাট বা বল হাতে তাঁদের কীর্তিগাথা, তখন তো আবার ইতিহাসেরই উঁকিঝুঁকি। এ যেন টাইম মেশিনে চড়ে আশ্চর্য এক ভ্রমণ! যার সঙ্গী ডব্লিউ জি গ্রেস, ক্লেম হিল, ফ্রেড স্পফোর্থ, ভিক্টর ট্রাম্পার, ডন ব্র্যাডম্যান, জ্যাক হবস, রণজিৎসিংজির মতো ক্রিকেট-কিংবদন্তিরা। অভিনব এক প্রয়াস। বাংলা ভাষায় তো নয়ই, অন্য কোনো ভাষাতেও এমন কিছু লেখা হয়েছে বলে জানা নেই।
- শিরোনাম কল্পলোকে ক্রিকেটের গল্প
- লেখক উৎপল শুভ্র
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৪০৩৫৮
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
উৎপল শুভ্র
জন্ম ২৫ পৌষ ১৩৭৩, নেত্রকোনায় মামাবাড়িতে। পুরকৌশলে স্নাতক ক্রীড়া-সাংবাদিকতায় এসেছিলেন নিছকই শখে। সেই শখই পেশা হয়ে গেছে দুই যুগেরও বেশি। শুধু একটা জিনিস একদমই বদলায়নি। শুরুর সেই মুগ্ধতার চোখেই এখনো আবিষ্ট খেলার নেশায়। সাহিত্যের নিবিষ্ট পাঠক, লেখাতেও তার ছাপ খুঁজে পান পাঠকেরা। এক শ ছুঁইছুঁই টেস্ট ম্যাচ ছাড়াও কাভার করেছেন ক্রিকেট ও ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক গেমসের মতো বড় আসর। অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিদেশের নামী পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে। প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক পদে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯৮ সাল থেকে ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ বলে পরিচিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি।