লিপস্টিক দিয়ে কাগজে গুড্ডুবুড়া লিখতে লাগল,
আমার নাম ওয়াসিফ হোসেন ওরফে গুড্ডুবুড়া। আমাকে এই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় কিডন্যাপ করে রাখা হয়েছে। আমার বাবার নাম আলতাফ হোসেন। তার মোবাইল নম্বর...। আপনারা যেই এই চিঠি পড়বেন, দয়া করে আমার আব্বাকে ফোন করে জানাবেন। না হলে কোনো পুলিশকে জানাবেন।
বইয়ের বিবরণ
গুড্ডুবুড়া ভীষণ বোকা। তার বোকামির কাণ্ড যে-ই শোনে, সে-ই হেসে গড়াগড়ি খায়। সে চকলেট ভেবে রং-পেনসিল খেয়ে ফেলে। তারপর হাত-পা-মুখ সব রঙিন হয়ে যায়। আবার রং-পেনসিল ভেবে চকলেট দিয়ে ছবি আঁকে। আর পিঁপড়া এসে ভরে ফেলে তার ছবি আঁকার খাতা। এমন বোকা ছেলেটাকে ধরে নিয়ে যায় ছেলেধরা। গুড্ডুবুড়া এমনি বোকা যে তাকে ধরে বিপদেই পড়ে ছেলেধরার দল। কিন্তু গুড্ডুবুড়া চিরকাল বোকা থাকে না। ভালো ভালো খাবার খেয়ে সে হয়ে পড়ে বুদ্ধিমান। এবার তাকে আবারও ধরে ফেলে কিডন্যাপারের দল। কিন্তু বুদ্ধিমান বালকের সঙ্গে কি পেরে উঠবে খারাপ লোকগুলো?
ভয়ংকর আস্তানা থেকে কি শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারে গুড্ডুবুড়া?
- শিরোনাম কিডন্যাপারের কবলে গুড্ডুবুড়া
- লেখক আনিসুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০৬৬০৩৩
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আনিসুল হক
জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, নীলফামারী। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে রংপুরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনি, শিশুসাহিত্য—সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয়। প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সে সময়ের মানুষদের নিয়ে তাঁর লেখা উপন্যাসের ছয়টি পর্ব—‘যারা ভোর এনেছিল’, ‘উষার দুয়ারে’, ‘আলো-আঁধারের যাত্রী’, ‘এই পথে আলো জ্বেলে’, ‘এখানে থেমো না’ ও ‘রক্তে আঁকা ভোর’। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার। তাঁর বই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশে।