১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোররাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পেছনে আসলে কে ছিল? ১ জুন মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ভেতরেই বা কীভাবে খুন হলেন জেনারেল মনজুর? এটা কি এক ঢিলে দুই পাখি শিকার? দ্বিতীয় খুনের কাহিনি রাজনৈতিক অভিলাষ, ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের রুদ্ধশ্বাস এক বিবরণ। বাস্তব এই কাহিনি গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানায়।
বইয়ের বিবরণ
৩০ মে ১৯৮১, ভোররাত। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ঘটনাটি ঘটালেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল মনজুরই কি পেছন থেকে এ হত্যাকাণ্ডের কলকাঠি নেড়েছেন? ঘটনা গড়াতে লাগল অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে। ১ জুন ১৯৮১। হত্যাকারী অফিসারদের সঙ্গে সপরিবারে পালাচ্ছেন জেনারেল মনজুর। কিন্তু বিকেলের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন। আদালতের মুখোমুখি হতে চাইলেন আটক মনজুর। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যেই থানা থেকে তাঁকে নেওয়া হলো সেনা হেফাজতে। মধ্যরাতে, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে, একটি বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারালেন তিনি। এক হত্যাকাণ্ডের পেছনে যেন নিয়তির মতো ছুটে এল আরেকটি হত্যাকাণ্ড। এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের গল্প নয় তো এটি? প্রেসিডেন্ট জিয়া ও জেনারেল মনজুর হত্যাকাণ্ডের ছায়াচ্ছন্ন ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় খুনের কাহিনি। অনুসন্ধান ও গবেষণায় রুদ্ধশ্বাস এ সত্য কাহিনি তুলে আনা হয়েছে ইতিহাসের অন্ধকার থেকে। এ কাহিনি গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানায়।
- শিরোনাম দ্বিতীয় খুনের কাহিনি
- লেখক মশিউল আলম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০২৫৫৪২
- প্রকাশের সাল ২০২৩
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২২৪
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মশিউল আলম
জন্ম ১৯৬৬ সালে, জয়পুরহাটে। মস্কোর পাত্রিস লুমুম্বা গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে প্রথম আলোয় কর্মরত। তাঁর লেখা উপন্যাস ও গল্পগ্রন্েথর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, ঘোড়ামাসুদ, জুবোফ্স্কি বুলভার, মাংসের কারবার, দ্বিতীয় খুনের কাহিনি।