১৯৭১ সালে একটি বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি)-এর দখল নিয়ে ১৮০ দিনব্যাপী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে জড়িত ছিল তিনটি বাহিনী—মুক্তিযোদ্ধা, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। কয়েক হাজার যোদ্ধা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বীরত্বের স্বীকৃতি পান মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের কোনো একটি ভূখণ্ডের দখল নিয়ে সব পক্ষের এত সেনাসমাবেশ আর অস্ত্রশক্তি প্রদর্শনের দ্বিতীয় নজির নেই। কামালপুর ১৯৭১: সম্মুখযোদ্ধা এবং ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর বিশেষজ্ঞদের কথা গ্রন্থটি অংশগ্রহণকারীদের বয়ানে এ যুদ্ধেরই ধারাবর্ণনা; সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর বিশেষজ্ঞদের রচনা, কিছু দলিল আর ছবি।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম কামালপুর ১৯৭১
- লেখক মুহাম্মদ লুৎফুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০১৯২৯৯
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মুহাম্মদ লুৎফুল হক
জন্ম ১৯৫৫, দিনাজপুরে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ২০০৫ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব (২০০৬), বাঙালি পল্টন: ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি রেজিমেন্ট (২০১২), সৈনিক নজরুল (২০১৩), মোহাম্মদ আলীর বাংলাদেশ বিজয় (২০১৬)। সম্পাদনা: রাজশাহী ১৯৭১ (যৌথ ২০১২), কামালপুর ১৯৭১ (২০১২), দিনাজপুর ১৯৭১ (২০১৩), মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স (২০১৩)।