তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৫৪ - পঞ্চম খণ্ড
লেখক: বেলাল চৌধুরী, সিমিন হোসেন রিমি, তাজউদ্দীন আহমদ
বিষয়: জীবনী/আত্মকথা/স্মৃতিকথা, কীর্তিমান বাঙালি
তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি আমরা পড়ব দুই কারণে। তাজউদ্দীন আহমদকে ঘনিষ্ঠভাবে চিনবার জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁর সময় ও সমাজকে জানবার জন্য। দুটোরই দরকার আছে। ইতিহাস না বুঝলে আমরা নিজেদের চিনব কী করে, জানব কেমন করে কোথায় আমাদের গৌরব, কোনখানে গ্লানি, এবং কী করেই বা হাত দেব ইতিহাসকে বদলানোর কাজে?
বইয়ের বিবরণ
তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরির এ খণ্ডটি তাঁর ১৯৫৪ সালের দিনলিপি নিয়ে। সময়টি ছিল আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই বছর ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই যুক্তফ্রন্ট গঠন নিয়ে অবশ্য দলগুলোর মধ্যে অনেক মতবিরোধ ছিল। তারপরও যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় এবং নির্বাচনে এই জোট বিরাট সাফল্য অর্জন করে। মুসলিম লীগের চরম ভরাডুবি হয়। তাজউদ্দীন নিজে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ব্যবধানে পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু শরিক দলগুলোর পারস্পরিক মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের কারণে যুক্তফ্রন্ট সরকার স্থায়ী হতে পারেনি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয় এবং প্রদেশে গভর্নরের শাসন জারি করে। এসব এবং পাশাপাশি ঘটে যাওয়া আরও নানা কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বা সাক্ষী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাঁর লেখা দিনলিপিতে সেদিনের সে ঘটনাপ্রবাহের অন্তরঙ্গ ও বস্ত্তনিষ্ঠ বর্ণনা পাবেন পাঠক। গবেষকদেরও বইটি কাজে লাগবে।
- শিরোনাম তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৫৪ - পঞ্চম খণ্ড
- লেখক বেলাল চৌধুরী, সিমিন হোসেন রিমি, তাজউদ্দীন আহমদ
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০০২২৯
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

বেলাল চৌধুরী
জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮, ফেনীর শর্শদীতে। নিজের সম্পর্কে তিনি বলতেন ‘স্বশিক্ষিত’। যুক্ত ছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। উন্মূল-বাউন্ডুলে জীবনের প্রতি ছিল অদম্য আকর্ষণ। ১৯৬৩ সালে কলকাতা গমন এবং সেখানকার সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠালাভ। ১৯৭৪-এ মায়ের আদেশে স্বদেশে ফিরে আসা। এরপর সাংবাদিকতা এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিই ছিল তাঁর পেশা ও নেশা। ভারত বিচিত্রা র সম্পাদক ও সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানী র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কলকাতার প্রবাসজীবনে কৃত্তিবাস-এর কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। কবিতার সমান্তরালে লিখেছেন নানা বিষয়ে বিস্তর গদ্য। অনুবাদেও ছিলেন সক্রিয়। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার। মৃত্যু ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা।