ইতিহাসের অলিগলি পরিভ্রমণ করে মাহবুব আলম তুলে এনেছেন সরস, রোমাঞ্চকর ও কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনাবলি। এ বইয়ের ‘বেগমের কূটনৈতিক মিশন’, ‘রামমোহনের রাজা উপাধি লাভ ও বিলাতে দিল্লির বাদশাহের দূতিয়ালি’, ‘পূর্ববঙ্গে খ্যাপাটে সাহেবরা’, ‘বাংলায় মরণব্যাধি কালাজ্বর’ ইত্যাদি ইতিহাসের প্রায় অজানা, ঢাকা-পড়ে-যাওয়া কাহিনি পাঠককে আনন্দ দেবে।
বইয়ের বিবরণ
মাহবুব আলমের আগ্রহ ইতিহাসের অলিতে গলিতে। এ বইয়ের রচনাগুলোতে তার প্রমাণ মিলবে। প্রথম রচনা ‘বেগমের কূটনৈতিক মিশন’। ব্রিটিশ শাসকের শতবর্ষের মিত্র লক্ষ্ণৌ-অযোধ্যার বাদশাহ ওয়াজিদ আলী শাহকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভারতের ইংরেজ শাসকেরা তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নিলে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তাঁর মা স্বাধীন অযোধ্যা রাজ্যের শেষ রানি আউলিয়া বেগম। তিনি জাহাজ ভাড়া করে সঙ্গী-সহচর নিয়ে দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে লন্ডনে পৌঁছান। উদ্দেশ্য, ব্রিটেনের রানি ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে সরাসরি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করা, ছেলেকে আবারও সসম্মানে গদিনশিন করা। আউলিয়া বেগমের এই রোমাঞ্চকর অভিযানের চমৎকার বর্ণনা আছে এ বইয়ে। গ্রন্থভুক্ত অন্য ৮টি রচনাও পাঠককে নিয়ে যাবে ইতিহাসের অন্দরমহলে, এত দিন যা ছিল প্রায় অজানা।
- শিরোনাম বেগমের কূটনৈতিক মিশন ও অন্যান্য
- লেখক মাহবুব আলম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মাহবুব আলম
জন্ম ১৯৪৪, নেত্রকোনায়। শৈশব কেটেছে বাবার চাকরিসূত্রে সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের নানা জেলা শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৬-তে স্নাতকোত্তর। কিছুদিন অধ্যাপনার পর ১৯৬৮ সালে কূটনৈতিক ক্যাডারে যোগ দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন কলকাতা, ভারতে মিশন-প্রধান ছিলেন। এরপর মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম বই শায়েস্তা খানের শেষ ইচ্ছা ও অন্যান্য (২০১২)। ইতিহাসের অপ্রচলিত অলিগলিতে তাঁর বরাবরই প্রবল আগ্রহ। কলের গানের পুরোনো বাংলা রেকর্ড সংগ্রহ, গ্রন্থপাঠ এবং অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন।