‘কে ফোন করেছেন? হ্যালো।’ ওপাশটা নিরুত্তর। ‘কী ব্যাপার! ফোন করছেন অথচ কথা বলছেন না! কী আশ্চর্য!’ কথা বলবে কোন মুখে তমোনাশ! কথা বলার সব অধিকার কবেই হারিয়ে বসে আছে সে! এক দুই তিন করে করে তো কম বছর হলো না! পাক্কা চৌত্রিশ বছর। চৌত্রিশ বছর আগে কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে তার সঙ্গে তমোনাশের শেষ কথা হয়েছিল। ওয়ার সেমিট্রির মূল গেটের একটু ভেতরকার সেগুনগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে ছিল তারা। মুখোমুখি। যাওয়ার আগে ম্লান-বিষণ² মুখটি তুলে বলেছিল, ‘সুখী হতে পারবে না তুমি, অন্তত দাম্পত্য জীবনে।’ সেই দাম্পত্য জীবনের স্বাদ পেয়েছিল কি তমোনাশ?
বইয়ের বিবরণ
চৌত্রিশ বছর পর সাবেক প্রেমিকা বহ্নির কাছে ফোন করেছে প্রেমিক তমোনাশ। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে দুজনের পরিচয়।
সেই পরিচয়ের পথ ধরেই ঘনিষ্ঠতা। দৈহিক-নৈকট্যেও নিবিড় হওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায় না। তমোনাশকে ভুল বোঝে বহ্নি। তারপর তার বিয়ের পিঁড়িতে বসা। চলতে থাকে তার দাম্পত্য জীবন। সন্তানের জননী হয় সে। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। হঠাৎ তমোনাশের ফোন ঝড় তোলে তার মনে। চৌত্রিশ বছর পর সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার বাসনা প্রবল হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বহ্নি আর তমোনাশের সাক্ষাৎ হয়েছিল কি? এক নিঃশ্বাসে পাঠ করার মতো উপন্যাস। একবার শুরু করলে এর বিষয়বস্ত্ত আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত। মানব-মানবীর প্রেমজ সম্পর্কের এক নিবিড় পাঠের আস্বাদ দেবে এই উপন্যাস।
- শিরোনাম এখন তুমি কেমন আছ
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১২০০৬৩
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।