একাত্তরের জানুয়ারি-মার্চে ব্রিগেডিয়ার এম আর মজুমদারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে কর্মরত কয়েকজন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা স্বাধীনতার পক্ষে গোপনে কিছু কাজ করেছেন। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন এই বইয়ের লেখক, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরী। পরে তিনি জেড ফোর্সের অধীনে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ বইয়ে তিনি প্রাক-মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধকালের এমন অনেক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, যার কিছু কিছু এই প্রথম লিপিবদ্ধ হলো। এ বই মুক্তিযুদ্ধ ও উত্তরকালের কিছু অজানা অধ্যায় সম্পর্কে পাঠকের কৌতূহলই মেটাবে।
বইয়ের বিবরণ
মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদ চৌধুরীর সেনাজীবন ছিল গৌরবপূর্ণ। ১৯৭১ সালে তিনি ক্যাপ্টেন হিসেবে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। তখন বাংলাদেশে কর্মরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যরা অনেকে যৌথভাবে আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবেও কিছু গোপন তৎপরতায় জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামেও তাঁদের অনেকে এ ধরনের কিছু কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। আমীন আহম্মেদ চৌধুরী সেরকম কিছু কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর দেশের কিছু ঘটনারও তিনি প্রত্যক্ষদর্শী। এই বইয়ে তিনি সেই সব ঘটনা তুলে ধরেছেন। এমন কিছু ঘটনার কথা তিনি লিখেছেন, যেগুলো এর আগে কেউ লেখেননি।
আমীন আহম্মেদ চৌধুরীর এই বইয়ের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি কেবল সেসব ঘটনারই বর্ণনা দিয়েছেন, যেগুলো তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার অংশ। বই পড়ে বা কারও কাছ থেকে শুনে তিনি কিছু লেখেননি। এ বই পাঠককে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই অগ্নিক্ষরা দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
- শিরোনাম ১৯৭১ ও আমার সামরিক জীবন
- লেখক আমীন আহম্মেদ চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849120407
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আমীন আহম্মেদ চৌধুরী
জন্ম ১৯৪৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, ফেনীতে। পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ময়মনসিংহ শহরে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে যোগ দেন। ২০০০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর নেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিলিটারি অ্যাটাশে (১৯৭৬-৭৭), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (১৯৮৬-৮৯), বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান (১৯৮৯-৯২) ও সেনাকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান (১৯৯২-৯৫) ছিলেন । ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ওমানে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় (১৯৮৫), ৬ষ্ঠ (১৯৯৩) ও একাদশ (২০১০) সাফ গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ডিসপ্লে প্রদর্শনীর তিনি ছিলেন মূল সংগঠক। ২০১৩ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।