রবীন্দ্রনাথকে তাঁর সহধর্মিণী মৃণালিনীর আত্মকথনের আশ্রয়ে তুলে ধরেছেন এ সময়ের কথাশিল্পী হরিশংকর জলদাস। পড়তে গিয়ে মনে হবে, উপন্যাস নয়, মৃণালিনীর সত্যিকার আত্মস্মৃতি এটি। সবলতা-দুর্বলতায় মেশানো রবীন্দ্রনাথের জীবনের নানা পর্ব শুধু নয়, ভবতারিণী থেকে মৃণালিনীতে পরিণত হওয়া এক নারীর জীবনের চাওয়া-পাওয়া, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সুখ-দুঃখ, দ্বন্দ্ব-সংক্ষোভও উঠে এসেছে কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের এই উপন্যাসের পরতে পরতে। সহজ-সরল অথচ গভীর আগ্রহসঞ্চারী তাঁর কাহিনির বুননভঙ্গি।
বইয়ের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথের সহধর্মিণী মৃণালিনীর আত্মকথনের ভঙ্গিতে লেখা এই উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর বিয়ের রাত থেকে শুরু করে নিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামী রবিবাবুর সংগোপন জীবনের নানা কথা অকপটে তুলে ধরেছেন মৃণালিনী। সবলতা-দুর্বলতায় মেশা রবীন্দ্রনাথের জীবনের এক দীর্ঘ অধ্যায় আটপৌরে ভাষায় উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। পাশাপাশি উঠে এসেছে ভবতারিণী থেকে মৃণালিনীতে পরিণত হওয়া রবি ঠাকুরের সহধর্মিণীর চাওয়া-পাওয়া, পূর্ণতা-অপূর্ণতা এবং তাঁর নারীজীবনের হাহাকার-দীর্ণতার কথাও। এই উপন্যাস আমাদের কথাসাহিত্যের এক মাইলফলক-স্বরূপ সাহিত্যকৃতি।
- শিরোনাম আমি মৃণালিনী নই
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০৬৬০০২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।