সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামের মানুষের জীবন নিয়ে এ উপন্যাস। মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই বন-প্রান্তর পেরিয়ে পৌঁছে যায় দেশের সীমান্ত পর্যন্ত। জীবনের লড়াই সেখানে নিদারুণ, তবু তাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় না। সংগ্রাম ও স্বপ্নের এক অনন্য গাথা দিনকালের কাঠখড়।
বইয়ের বিবরণ
সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রাম। গ্রামের মানুষ জীবিকার সন্ধানে সুন্দরবনে যায়। কেউ কেউ প্রাণ দেয় বাঘের থাবায়। তাদের স্ত্রীরা বাঘ-বিধবা হয়ে দিন কাটায়। গ্রামের নাম হয়ে যায় বাঘ-বিধবাদের গ্রাম। কাজ খঁুজতে হয় গ্রামের মানুষের। কাজের সন্ধানে কখনো কখনো তারা সীমান্ত অতিক্রম করে। তাদের জন্য বেঁচে থাকাই এক কঠিন সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনও তাদের জীবিকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বৈরী প্রকৃতি, বৈরী মানুষের আচরণ। অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসতি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা ঘটতেই থাকে। তারা কখনো থিতু হতে পারে না। বাতাসে ওড়ে ছিন্নভিন্ন জীবনের হাহাকার। তার পরও বেঁচে থাকার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় মানুষ তার স্বপ্ন গড়ে তুলতে চায়। এ দেশের শরবানুদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প দিনকালের কাঠখড়।
- শিরোনাম দিনকালের কাঠখড়
- লেখক সেলিনা হোসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১২০০৪৯
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সেলিনা হোসেন
জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭, রাজশাহী শহরে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। প্রথম গল্পগ্রন্থ বেরোয় ১৯৬৯ সালে। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস: গেরিলা ও বীরাঙ্গনা, দিনকালের কাঠখড়, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, নীল ময়ূরের যৌবন, কালকেতু ও ফুল্লরা; গল্পগ্রন্থ: উৎস থেকে নিরন্তর, জলবতী মেঘের বাতাস, খোল করতাল প্রভৃতি। দেশে ও বিদেশের কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর রচনা পাঠ্য। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন দুবার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে ডি.লিট উপাধি পেয়েছেন।