আরিফুর রহমান তাকে ঘিরে ঘটতে থাকা নানা ঘটনার কথা বর্ণনা করেন। তিনি কখনো আরিফুর রহমান থাকেন, কখনো আবিভূর্ত হন অন্য নামে। এর মধ্যে আছে সত্য ও স্বপ্ন, বাস্তব ও কল্পনা। আখ্যানের সঙ্গে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন লেখক এবং তা তুলে ধরেছেন অসাম্য দক্ষতায়।
বইয়ের বিবরণ
চুয়াত্তর বছর বয়সী আরিফুর রহমানের বয়ানে এই উপন্যাসের কাহিনির বিস্তার। অচেতন স্ত্রী ডালিয়াকে নিয়ে কাটে তার দিনরাত্রি। অতীতের সুখের স্মৃতিই শুধু তার সঙ্গী নয়, চলমান রূঢ় বর্তমানও তার জীবনের সহচর। কাহিনি এগোয় আর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে পুরো দেশের একটি অবয়ব পাঠকের সামনে উপস্থাপিত হয়। চরিত্রগুলো পূর্ণ ও জীবন্ত। এ আখ্যান শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই। কথাসাহিত্যিক হিসেবে সেলিনা হোসেন আরও একবার তাঁর শক্তিমত্তার পরিচয় তুলে ধরলেন এই উপন্যাসের মাধ্যমে।
- শিরোনাম হেঁটে যাই জনমভর
- লেখক সেলিনা হোসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১৭৬৪০৪
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সেলিনা হোসেন
জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭, রাজশাহী শহরে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। প্রথম গল্পগ্রন্থ বেরোয় ১৯৬৯ সালে। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস: গেরিলা ও বীরাঙ্গনা, দিনকালের কাঠখড়, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, নীল ময়ূরের যৌবন, কালকেতু ও ফুল্লরা; গল্পগ্রন্থ: উৎস থেকে নিরন্তর, জলবতী মেঘের বাতাস, খোল করতাল প্রভৃতি। দেশে ও বিদেশের কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর রচনা পাঠ্য। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন দুবার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে ডি.লিট উপাধি পেয়েছেন।