রঙ্গশালা উপন্যাসের বক্তা একজন ভিক্ষুক। শ্রোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। স্থান রমনা পার্ক। এ কাহিনি এমন, পাঠক অধ্যাপকের পাশে বসতে বাধ্য হবেন ভিক্ষুকের অভিজ্ঞতার বয়ান শুনতে।
বইয়ের বিবরণ
বাঙালির সমাজ-রাজনীতি-ধর্মবোধ-দর্শন-সাহিত্য-জোচ্চুরি-ওপরচালাকি—এসবের রূপময় চিত্র আছে রঙ্গশালা উপন্যাসে। আর আছে আকুল করা রহস্যময় এক উপাখ্যান। মানুষের কীর্তি-কুকীর্তি, ভাবনা-যাতনা, কৈশোর-তারুণ্য-বার্ধক্য, জন্ম-বিয়ে-মৃত্যু, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা সবই একাকার হয়ে গেছে এই উপন্যাসে। হরিশংকর জলদাসের নতুন ভাষাভঙ্গিরও প্রমাণ পাবেন পাঠক।উপন্যাসের কাহিনি-কথক একজন ভিক্ষুক। শ্রোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। বলার স্থান রমনা পার্ক। রঙ্গশালার কাহিনি এমন, পাঠক অধ্যাপকের পাশে বসতে বাধ্য হবেন ভিক্ষুকের মুখে গল্প শুনতে। রঙ্গশালায় হরিশংকর জলদাস বিস্তৃত বাঙালি-জীবন রচনায় মনোযোগী হয়েছেন।
- শিরোনাম রঙ্গশালা - হরিশংকর জলদাস
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849240396
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।