‘দোয়েল কী করে, অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত কাণ্ড করে। আমাকে হঠাৎ সে জড়িয়ে ধরে। তার শরীরের মাখনে আমি অপরূপ মসৃণ হয়ে যাই। মাতৃস্তনের পরে এই প্রথম স্তনের দ্বিতীয় এক রূপ আমার পরশের ইন্দ্রিয় পথে বোধ করে উঠি।’—সৈয়দ শামসুল হকের এই আখ্যানের পরতে পরতে রয়েছে সম্পর্কের নতুন-ঘোরলাগা বয়ান। নারী-পুরুষ সম্পর্কের মধ্যে থাকা শরীর ও মন—শরীর-মনের দ্বন্দ্ব ভিন্ন এক ব্যাখ্যা পেয়েছে এই উপন্যাসে।
বইয়ের বিবরণ
সতেরো বছর বয়সী দোয়েল নামে মেয়েটি কলেজপড়ুয়া, কবিতা ভালোবাসে। এমনই উচ্ছল তার ব্যক্তিত্ব, ছেলেবন্ধুদের কেউ সচরাচর তাকে মেয়ে বলে ভাবার সাহস পায় না। দোয়েলের বন্ধু সুমন ইসলাম তরুণ কবি। কবিতার ডানায় ভাসতে ভাসতে দোয়েলের সঙ্গে ওর অন্য রকম বোঝাপড়া। নারী-পুরুষের সে বোঝাপড়ায় শরীরের চেয়ে মনের আকর্ষণই প্রবল। দুজনের চোখ দিয়ে দেখা মেলে কবিতা ও সাহিত্যের এক মাতাল পৃথিবী। কবি শামসুর রাহমান চরিত্র হিসেবে উপস্থিত এখানে। এদিকে সুমনের ফুফাতো বোন তরু প্রায় রাতেই যে সুমনের বিছানায় আসে, সে কি কেবল শরীরী টানে? ঘটনা থেকে ঘটনায় ছুটে ফেরা। ঘটনার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায় দোয়েল-সুমনও। একসময় তাদের নিষ্কাম, কাব্যময় সম্পর্কের মধ্যে তবে কি উপস্থিত হলো শরীর; না হলে একান্তে সময় কাটাতে দোয়েল ও সুমন হোটেলের নির্জন কক্ষ বেছে নিল কেন? সৈয়দ শামসুল হকের এই উপন্যাসে পাওয়া যাবে এই সময়ের এক দঙ্গল তরুণের উচ্ছ্বাস, পাওয়া যাবে সম্পর্কের নতুন এক ভুবন।
- শিরোনাম দোয়েল নামে মেয়েটি
- লেখক সৈয়দ শামসুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১৭৬২২০
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, কুড়িগ্রাম। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্যনাট্য ও প্রবন্ধ মিলে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় দুই শ। আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ্ স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন। মৃত্যু ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।