বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ধর্ম অভিধান যার যা ধর্ম। পৃথিবীর প্রধান ও অপ্রধান সব ধর্ম ও ধর্মসংশ্লিষ্ট বিষয়ের তথ্য সংকলিত হয়েছে এ বইয়ে। একটিমাত্র বইয়ের সাহায্যে নিজ ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে বাংলাভাষী পাঠকের জন্য এ বইয়ের বিকল্প নেই।
বইয়ের বিবরণ
বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য পরস্পরের ধর্ম সম্পর্কে জানার কোনো বিকল্প নেই। বাংলা ভাষার প্রথম এই ধর্ম অভিধানে পৃথিবীর প্রধান ও অপ্রধান বিভিন্ন ধর্মের মূলকথা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আচার-প্রথা, ধর্মীয় পুরুষদের জীবনী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও তীর্থস্থান, মোট কথা ধর্মসংশ্লিষ্ট প্রায় সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক আলোচনা অন্তভুর্ক্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মূল উৎস থেকে তথ্য নিয়ে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এই প্রয়োজনীয় ও শ্রমসাধ্য কাজটি করেছেন। ইতিপূর্বে যথাশব্দ, কোরানসূত্র ইত্যাদি গ্রন্েথর মাধ্যমে তিনি অভিধানকার হিসেবে তাঁর কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সব শ্রেণীর পাঠকের জন্য অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এবং প্রায় দুই হাজার ভুক্তিসমৃদ্ধ এই কোষগ্রন্থ আশা করি প্রত্যেক বাঙালি পাঠকের কাছে একটি অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
- শিরোনাম যার যা ধর্ম
- লেখক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৮৭৬৫৮০৭
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯২৮, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। আইন বিষয়ে স্নাতক। ১৯৫৮ সালে আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক সম্মান (অক্সফোর্ড) এবং ১৯৫৯ সালে ব্যারিস্টার হন। অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হন। বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৬ সালে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০০। উল্লেখযোগ্য বই: যার যা ধর্ম: বাংলা ভাষায় প্রথম ধর্ম অভিধান ; যথাশব্দ ; কোরানসূত্র ; বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জি ১৯৭১-২০১১ ; ভাষার আপন পর ; বাংলাদেশের নানান ভাষা ; নাগরিকদের জানা ভালো ; গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ ; রবীন্দ্রবাক্যে আর্ট, সঙ্গীত ও সাহিত্য; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার ইত্যাদি। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক। ১১ জানুয়ারি ২০১৪ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।