বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই কোনো কোনো শব্দের বানান নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, বিভ্রান্তির মুখোমুখি হন। এই দ্বিধা ও বিভ্রান্তি নিরসনে খটকা বানান অভিধান সবার কাজে লাগবে।
বইয়ের বিবরণ
বাংলা ভাষা মুদ্রণ-যুগে প্রবেশ করার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলা বানানের সমতাবিধান ও প্রমিতকরণের ক্ষেত্রে অনেক কাজ হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বানানের কিছু নিয়ম তৈরি করে দিয়েছে। প্রণীত নিয়মের কিছু পরিমার্জনাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। এসবের ফলে বহু শব্দের বানান সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হলেও অনেক শব্দের বানানভেদ তৈরি হয়েছে; পার্থক্য তৈরি হয়েছে অভিধানে প্রদত্ত বানানের সঙ্গে নতুন নিয়মের বানানের। ভাষার রূপ-রীতি ও উচ্চারণগত পরিবর্তনের ফলেও বানানের রূপবদল ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে লেখালেখি ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই কোনো কোনো শব্দের বানান নিয়ে বিভ্রান্তির মুখোমুখি হন। এই বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ভাষাবিশেষজ্ঞ, বানানবিশারদ, অভিধানকারদের অভিমত বিবেচনায় নিয়ে এবং বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসরণ করে এই খটকা বানান অভিধান পরিকল্পিত ও সংকলিত হয়েছে।
- শিরোনাম খটকা বানান অভিধান
- লেখক ড. মাহবুবুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৪০২৪২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

ড. মাহবুবুল হক
জন্ম ৩ নভেম্বর ১৯৪৮। পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলার মধুখালী। ছেলেবেলা থেকে জীবন কেটেছে চট্টগ্রামে। দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। বাংলা একাডেমির বানান অভিধান ও প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়নে ড. মাহবুবুল হকের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন্েথর তিনি সহযোগী সম্পাদক ও লেখক। তাঁর প্রকাশিত বই চল্লিশটিরও বেশি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ বাংলা বানানের নিয়ম, নজরুল তারিখ অভিধান, বাংলা ভাষা: কয়েকটি প্রসঙ্গ, প্রবন্ধ সংগ্রহ ইত্যাদি। তিনি ফিলিপস পুরস্কার, মধুসূদন পদক, নজরুল সম্মাননা, মুক্তিযুদ্ধ পদক, চট্টগ্রাম একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন।