বইয়ের বিবরণ
মনজুর রশীদ খান এ বইয়ে তাঁর সৈনিক জীবনের ঘটনাপরম্পরা তুলে ধরেছেন সরস ঘরোয়া ভঙ্গিতে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালি ক্যাডেটদের কঠোর জীবন, একাত্তরের ২৫ মার্চের আগে ও পরে পশ্চিম পাকিস্তানিদের বাঙালি সেনাদের অবিশ্বাসের চোখে দেখা, তাদের বিরুদ্ধে গৃহীত হয়রানিমূলক নানা ব্যবস্থা, পাকিস্তানে আড়াই বছরের বন্দিজীবন শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে তাঁর যোগদান, ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীতে সৃষ্ট গোলযোগে উচ্ছৃঙ্খল সেনাসদস্যদের নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা, প্রেসিডেন্ট জিয়ার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান-পূর্ব এবং পরবর্তীকালের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যে সমৃদ্ধ এ বই। পাশাপাশি জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামল, সামরিক সচিব হিসেবে তাঁর দেখা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নানা ঘটনা এবং নব্বুইয়ের এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন, তাঁর পদত্যাগ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের শাসনাধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন এবং পরবর্তীকালে উদ্ভূত জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণও লেখক তুলে ধরেছেন। ফলে এ বই হয়ে উঠেছে দেশের দীর্ঘ এক কালপর্বের সামরিক-রাজনৈতিক ও সামরিক ইতিহাসের অঙ্গীভূত অংশ।
- শিরোনাম আমার সৈনিক জীবন
- লেখক মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৩৩৩৮৭৯২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান
জন্ম ১৯৩৯ সালে বর্তমান গাজীপুর জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ। ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শিয়ালকোট রণাঙ্গনে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সাল থেকে প্রায় আড়াই বছর পাকিস্তানে অন্তরীণ জীবনযাপন। ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে মেজর হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ রাইফেলস ও সেনা সদর দপ্তর, দুটি আর্টিলারি ও পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন। ১৯৮৬ সালে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত এবং বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার প্রধান হিসেবে যোগদান। প্রথমে রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদ এবং পরে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৯০ সালে এরশাদ-বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। অবসর গ্রহণ ১৯৯৫ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থ এরশাদের পতন ও সাহাবুদ্দীনের অস্থায়ী শাসন: কাছে থেকে দেখা ইত্যাদি।