‘কিশোর আর রবিন আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে আছে সামনে থেকে ধেয়ে আসা গাড়িটার দিকে। সরু পাহাড়ি রাস্তায় এঁকেবেঁকে চলে তিরের মতো ছুটে এল ওদের দিকে গাড়িটা। গোয়েন্দারা বুঝল, কয়েক শ ফুট নিচের পাথুরে খাদে পড়েই মরণ লেখা আছে ওদের কপালে...’ কিন্তু না, এই ঘটনার সূত্র ধরেই শুরু হলো অ্যাডভেঞ্চার। সাংঘাতিক এক ডাকাতি হলো রকি বিচের বিখ্যাত টাওয়ার ম্যানশনে। তিন গোয়েন্দা তদন্ত শুরু করল হারানো গুপ্তধনের খোঁজে। মৃত্যুপথযাত্রী একজন লোক ফিসফিস করে কিছু বলে গেল ওদের কানের কাছে...ব্যস, পেয়ে গেল ওরা সূত্র। আর তারপর? তারপর রোমাঞ্চকর ভয়ংকর এক অ্যাডভেঞ্চার।
বইয়ের বিবরণ
সাংঘাতিক এক ডাকাতি হয়ে গেল রকি বিচের বিখ্যাত টাওয়ার ম্যানশনে। শুরু হলো তিন গোয়েন্দার রোমাঞ্চকর ভয়ংকর এক অ্যাডভেঞ্চার। চেরিভিল রেলস্টেশনের ওয়াটার টাওয়ারেই হয়তো আছে মহামূল্যবান গহনা আর বন্ড। কিশোর আর রবিন টাওয়ারে উঠে ওয়াটার ট্যাংকের ট্র্যাপডোর খুলে পেল বস্তাটা। বেরিয়ে আসবে, তখনই এল নির্দেশ, ‘থামো! এখানে যা কিছু আছে, সব আমার।’ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাম করে নেমে এল ট্র্যাপডোর। লাগিয়ে দেওয়া হলো বাইরে থেকে! ‘আমাদের বেরোতে দিন!’ লোকটার উদ্দেশে চেঁচিয়ে উঠল কিশোর। খিক খিক করে হাসল লোকটা। ‘টাওয়ারে তোমরা যে গুপ্তধন খঁুজে পেয়েছ, সেটা নেওয়ার কোনো তাড়া নেই আমার। কয় দিন পরে বেচলেও চলবে।’ ‘কয় দিন পরে!’ আঁতকে উঠল রবিন। ‘তত দিনে আমরা হয় দম আটকে, নইলে না খেয়ে মারা যাব!’ লোকটা ততক্ষণে চলে গেছে। কীভাবে বেরিয়ে আসবে রবিন আর কিশোর?
- শিরোনাম পুরোনো টাওয়ার
- লেখক রকিব হাসান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

রকিব হাসান
জন্ম কুমিল্লায়, ১৯৫০ সালে। নামে-বেনামে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৪০০। অনুবাদ করেছেন মহা ক্ল্যাসিক অ্যারাবিয়ান নাইটস ও এডগার রাইস বারোজের ‘টারজান’ সিরিজ। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই সিরিজের তিনটি মূল চরিত্র কিশোর, মুসা ও রবিনকে নিয়ে প্রথমা প্রকাশনের জন্য লিখছেন ‘গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন’ সিরিজ। এই সিরিজের আগের দশটি বই রহস্যের দ্বীপ, হাইপারসনিক রহস্য, গোল্ডেন বাইক রহস্য, অর্গান পাইপ রহস্য, অপারেশন বাহামা আইল্যান্ড, বাঘের মুখোশ, গোলকরহস্য, ক্যানারি দ্বীপের রহস্য, ডাইনির শহর ও সবুজ দুর্গ । প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা ‘সায়েন্স ফিকশন সিরিজ’-এর দুটি বই।