স্টিফেন হকিংয়ের প্রথম বই আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম। বইটি জনপ্রিয় হওয়ার পর অসংখ্য পাঠক আরও বই লেখার তাগিদ দেন তাঁকে। তাতে সাড়া দিয়ে ২০০১ সালে হকিং প্রকাশ করেন দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল। এ বইয়ে তিনি মহাবিশ্বকে সংক্ষেপে ও সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন। উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন বহুল আলোচিত মহাবিস্ফোরণ, কৃষ্ণগহ্বর, কৃষ্ণবস্ত্তসহ নানা রহস্য।
বইয়ের বিবরণ
তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম (১৯৮৮) বইটিকে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানবিষয়ক বই। খুব জনপ্রিয়তা পায় বইটি এবং পাঠকের কাছ থেকে আরও বই লেখার তাগিদ পেতে শুরু করেন তিনি। এক যুগ পরে আরেকটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেন হকিং এবং ২০০১ সালে প্রকাশ করেন দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল। এ বইয়ে মহাবিশ্বকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন; ব্যাখ্যা করেছেন এর পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা রহস্যও। অপার মহাবিশ্বের বহুল আলোচিত মহাবিস্ফোরণ, কৃষ্ণগহ্বর, কৃষ্ণবস্ত্তসহ নানা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন তিনি। এ কাজে ব্যবহার করেছেন সাধারণ আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিকস, স্ট্রিং-তত্ত্ব থেকে শুরু করে বহুল আলোচিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলো। বইটির ভাষা সহজ। পাতায় পাতায় ব্যবহার করা হয়েছে ছবি। বইটি বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেবে, উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ পাঠকও।
- শিরোনাম দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল
- লেখক স্টিফেন হকিং, আবুল বাসার
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৫২৫০৬৯৬
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
স্টিফেন হকিং
জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। বিজ্ঞানে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত যেমন তিনি খুলে দিয়েছেন, তেমনি জটিল বিষয়গুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ধারার বই লিখে। সেখানেও সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি প্রকাশের পর। লন্ডন সানডে টাইমস-এ এটি টানা ২৩৭ সপ্তাহ বেস্ট সেলার তালিকায় থেকেছে। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আরও কিছু বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই হকিংয়ের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে। সেসময় চিকিৎসকেরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু অদম্য মানসিক শক্তির জোরে তিনি পড়ালেখা ও গবেষণা চালিয়ে যান। দৈহিক অক্ষমতা জয় করে একসময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং।
আবুল বাসার
জন্ম ১৯৭৭, পাবনায়। পড়ালেখা শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশা সাংবাদিকতা। একসময় মাসিক কিশোর আলো সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানবিষয়ক বেশ কিছু মৌলিক বই লিখেছেন। অনুবাদও করেছেন বিশ্বসেরা কয়েকটি বিজ্ঞানের বইয়ের। ইতিমধ্যে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের ছয়টি বই অনুবাদ করেছেন। এর পাঁচটিই প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। বইগুলো হলো : দ্য থিওরি অব এভরিথিং, মাই ব্রিফ হিস্ট্রি, ব্রিফ আনসারস টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনস (বড় প্রশ্ন, ছোট উত্তর), দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল এবং ব্ল্যাকহোল। অনুবাদ করেছেন পদার্থবিদ মিচিও কাকুর লেখা বেস্টসেলার বই ফিজিকস অব দ্য ইমপসিবল, প্যারালাল ওয়ার্ল্ডস এবং দ্য গড ইকুয়েশন। জ্যোতিঃপদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসনের অনূদিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রোফিজিকস: সহজ পাঠ। বইগুলো ব্যাপক পাঠক সমাদৃত।