‘দেশের মাটি, মানুষ, ভাষা ও প্রকৃতি কীভাবে বিভিন্ন ভাষায় প্রতিফলিত হয়েছে তার সামান্য পরিচয় দেওয়া হলো এ বইয়ে। উন্নত বা উন্নয়নশীল ভাষাগুলোর মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধিকল্পে এবং বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ যেন পরস্পরকে সঙ্গদানে ও মতবিনিময়ে স্বকীয় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সত্ত্বেও এক দেশবাসী হয়ে একাত্মবোধ করতে পারে, এমন আশা থেকে এই সংকলনের উদ্যোগ।
এ গ্রন্েথ বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ভাষা ছাড়াও কিছু কিছু ভাষার উল্লেখ করেছি, যেগুলো মৌখিকভাবে চালু আছে। যেসব ভাষার বর্ণমালা নেই, সেসব ভাষাও বাংলা হরফে লেখা হচ্ছে। একুশে ফেব্রুয়ারি সকল ভাষার কথা বলে—এই বিশ্বাসেই এ গ্রন্েথর প্রণোদনা ও স্ফূর্তি।’
বইয়ের বিবরণ
এক হিসাবে দেখা গেছে, ৩৭টির বেশি ভাষাভাষী নাগরিকের বাস বাংলাদেশে। বলতে গেলে তাদের অনেকের খোঁজখবর জানি না। এ বইয়ে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সংক্ষেপে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উদুর্ ভাষার পরিচয় দিয়েছেন, পাশাপাশি তুলে ধরেছেন আদিবাসী জনজাতিগুলোর ভাষা-পরিচয়। তিনি ছোট ছোট নৃগোষ্ঠীর বর্ণমালা তুলে ধরেছেন, আলোচনা করেছেন সেসব ভাষা নিয়েও, যেগুলোর বর্ণমালা বা লিখিত রূপ নেই। ভাষাগুলোর পরিচয় দিতে গিয়ে লেখক সেসব ভাষায় মাতৃভাষা নিয়ে লেখা কবিতা উদ্ধৃত করেছেন, উপস্থাপন করেছেন তার বাংলা অনুবাদও। প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠী স্বভাবতই তাদের মাতৃভাষাকে ভালোবাসে এবং মাতৃভাষার উন্নয়নে কিছু-না-কিছু কাজ করছে। এ বইয়ে তারও কিছু পরিচয় মিলবে। বাংলা ভাষায় এ-জাতীয় বই এই প্রথম।
- শিরোনাম বাংলাদেশের নানান ভাষা
- লেখক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯০৬৬০৯৫
- মুদ্রণ 2nd Printed
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৯৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯২৮, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। আইন বিষয়ে স্নাতক। ১৯৫৮ সালে আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক সম্মান (অক্সফোর্ড) এবং ১৯৫৯ সালে ব্যারিস্টার হন। অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হন। বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৬ সালে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০০। উল্লেখযোগ্য বই: যার যা ধর্ম: বাংলা ভাষায় প্রথম ধর্ম অভিধান ; যথাশব্দ ; কোরানসূত্র ; বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জি ১৯৭১-২০১১ ; ভাষার আপন পর ; বাংলাদেশের নানান ভাষা ; নাগরিকদের জানা ভালো ; গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ ; রবীন্দ্রবাক্যে আর্ট, সঙ্গীত ও সাহিত্য; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার ইত্যাদি। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক। ১১ জানুয়ারি ২০১৪ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।