‘উপন্যাসটির শরীরজুড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের আগুন ও রোদ, এদের উল্টো পিঠের কিছু ছায়াও। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব আছে একটা কাঠামোর মতো, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ যাঁরা করেছিলেন, তার নেতৃত্ব যাঁরা দিয়েছিলেন, একাত্তরের পর তাঁদের অগৌরবের অনেক কাহিনিও আছে উপন্যাসটিতে।...আশ্চর্য, ১৯৭৪-এ যে ছবি আঁকলেন সৈয়দ হক, এখনো সেই ছবি টাঙানো সারা বাংলাদেশে।’
—সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
বইয়ের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের পরে জলেশ্বরীতে আপনি প্রবেশ করছেন তাহেরের হাত ধরে। ঢাকায় তার স্ত্রী ধর্ষিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে এসেছে স্কুলের হেডমাস্টার হয়ে। কিন্তু স্কুল খোলার মতো অবস্থা কি জলেশ্বরীতে আছে? যুদ্ধের সময় জলেশ্বরীর যেসব বাঙালি বা বিহারি পাকিস্তানি বাহিনীকে হত্যা ও ধর্ষণে সহায়তা করেছে এবং যারা এখন সীমান্তে চোরাচালানে ব্যস্ত, তাদের শায়েস্তা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা দল সব অস্ত্র জমা দেয়নি। বরং তারা মজফর ওরফে ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে অপারেশন চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে ক্যাপ্টেনের স্ত্রী হাসনা এসেছে ক্যাপ্টেনকে ঢাকায় নিয়ে যেতে। কিন্তু হাসনার জন্য ক্যাপ্টেনের সময় কোথায়? ওদিকে তাহেরের স্ত্রীর নামও ছিল হাসনা, সে যে আর বিয়ে করবে না ভেবেছিল, এই হাসনা কি তাকে সেই সংকল্পে¸ অটল থাকতে দেবে? রাতে স্টেশন থেকে তাহেরই হাসনাকে নিয়ে আসে তার স্কুলের আস্তানায়। রাতের সংঘর্ষে ক্যাপ্টেনের মুত্যুর খবর হাসনাকে বিচলিত করে না। সে কি জলেশ্বরীতে থেকে যাবে, তাহেরের সঙ্গে? জলেশ্বরী আসলে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ। সে সময়টিকে সৈয়দ শামসুল হক তুলে এনেছেন এক অসাধারণ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে, তাঁর অসামান্য ভাষায়। শুরু করলে এর ভাষা ও আখ্যানই আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে।
- শিরোনাম দ্বিতীয় দিনের কাহিনী
- লেখক সৈয়দ শামসুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৭৪৩৭৭
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, কুড়িগ্রাম। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্যনাট্য ও প্রবন্ধ মিলে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় দুই শ। আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ্ স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন। মৃত্যু ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।