দিনলিপি ও আমার শিল্পীজীবনের কথা

লেখক: আব্বাসউদ্দীন আহ্‌মদ

বিষয়: বিবিধ

৪৩৪.৬০ টাকা ১৮% ছাড় ৫৩০.০০ টাকা

অসামান্য শিল্পী ছিলেন আব্বাসউদ্দীন আহ্‌মদ। তাঁর দরদি ও বলিষ্ঠ কণ্ঠ বাংলার মানুষকে মাতিয়ে তুলেছিল। জীবনসায়াহ্নে এসে তিনি প্রায় এক বছর দিনলিপি (ডায়েরি) লিখেছেন। এরও আগে লেখা শুরু করেছিলেন আত্মজীবনী। সেই আত্মজীবনী ‘আমার শিল্পজীবনের কথা’ প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পর। শেষজীবনের দিনলিপি আর আত্মজীবনী—দুটো এক মলাটে যুক্ত হয়েছে এ বইয়ে। 

সংগ্রহে নেই পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আব্বাসউদ্দীন আহ্‌মদ

বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহ্মদ ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জাফর আলী আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতের উকিল। বলরামপুর স্কুলে আব্বাসউদ্দীনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১৯১৯ সালে তুফানগঞ্জ স্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা এবং ১৯২১ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এখান থেকে বিএ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে তিনি সংগীতের জগতে প্রবেশ করেন। একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আব্বাসউদ্দীনের পরিচিতি দেশজোড়া। আধুনিক গান, স্বদেশি গান, ইসলামি গান, পল্লিগীতি, উর্দু গান—সবই তিনি গেয়েছেন। তবে পল্লিগীতিতে তাঁর মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা ইত্যাদি গান গেয়ে জনপ্রিয় হন। তিনি তাঁর দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লিগানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা আজও অদ্বিতীয়। দেশ বিভাগের পর (১৯৪৭ সালে) ঢাকায় এসে তিনি সরকারের প্রচার দপ্তরে অ্যাডিশনাল সং অর্গানাইজার হিসেবে চাকরি করেন। ‘আমার শিল্পীজীবনের কথা’ (১৯৬০) আব্বাসউদ্দীনের রচিত একমাত্র গ্রন্থ। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৬০), শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন। ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পল্লিগানের এই মহান সম্রাট মৃত্যুবরণ করেন।

এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(১)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Hamidur Rahman Sharon

১২ Feb, ২০২২ - ২:২১ AM

দারুণ একটা বই!❣️