বাঙালি পাঠকের জন্য টনি মরিসনের রচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগৎকে নিয়ে আসবে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকায় দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলেও বিংশ শতাব্দীর একটা বড় অংশ জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ তার সংবিধান-প্রদত্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। ইতিহাসের সেই বঞ্চনা ওই সমাজকে এমন গভীরভাবে আঘাত করে যে তার উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, মরিসনের আখ্যান এই প্রেক্ষাপটে রচিত।
বইয়ের বিবরণ
বাঙালি পাঠকের জন্য টনি মরিসনের রচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগৎকে নিয়ে আসবে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকায় দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলেও বিংশ শতাব্দীর একটা বড় অংশ জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ তার সংবিধান-প্রদত্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। ইতিহাসের সেই বঞ্চনা ওই সমাজকে এমন গভীরভাবে আঘাত করে যে তার উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, মরিসনের আখ্যান এই প্রেক্ষাপটে রচিত। কিন্তু সেটি কোনো রাজনৈতিক নথি নয়, বরং সত্যের সুতো থেকে সূক্ষ্মভাবে বোনা এক জটিল নকশিকাঁথা যা কিনা কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ ও তার অনুষঙ্গ হিসেবে শ্বেতাঙ্গ সমাজের স্তরগুলোকে একে একে উন্মোচন করেছে। তাঁর চরিত্ররা পরিশীলিত নয়, তাঁদের আবেগ আদিম, তাদের দুর্বলতা হৃদয়বিদারক, অসহায়তা অসহনীয়। মরিসনের অন্বেষণে এই জটিল নকশি বুননের এক পাশে আলো, অন্য পাশে অন্ধকার, যেখানে নিপীড়ণের আইডিয়া ছাড়িয়ে কৃষ্ণাঙ্গ-মার্কিন অভিজ্ঞতার এক বহুমাত্রিক বর্ণালি উপস্থাপনা রচিত হয়েছে, যাকে (Chloe Anthony Wofford) বলা যায়। সেখানে একদিকে রয়েছে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব, প্রেম, হঠকারি সিদ্ধান্ত অথবা বিশ্বাসঘতকতা, অন্যদিকে আছে পারিবারিক ও সামাজিক গতিময়তার মধ্যে সমন্বয় ও সংঘর্ষ। আমার বিশ্বাস ‘সুলা’ আমাদেরকে অনেক বাঁধাধরা ধারণার বাইরে নিয়ে আসবে, বাঙালি পাঠকের জন্য এটি যেমন প্রাসঙ্গিক তেমনই প্রয়োজনীয়, তাঁর নিজের সমাজটিকে আতস কাচ নিয়ে দেখার জন্য।
- শিরোনাম সুলা
- লেখক টনি মরিসন, নাহার তৃণা (অনুবাদক)
- প্রকাশক কবি প্রকাশনী
- আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৯৮৮১৩-৭-৭
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st
- বাঁধাই Hardcover
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।