’৫২-এর ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্ত পরিস্থিতি ও পুলিশের অপতৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে ফজলুল হক ও সলিমুল্লাহ মুসলিম ছাত্রাবাসের অ্যাসেম্বলি হলের ছাত্রসমাবেশে তাজউদ্দীনের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তাঁর সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞারই পরিচায়ক।
ড. আতিউর রহমান
বইয়ের বিবরণ
তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি এ দেশের ইতিহাসে এক অমূল্য সম্পদ; তরুণসমাজের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত, যা তাদের ভবিষ্যতের সোনালি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করবে। অন্যান্য প্রসঙ্গের বাইরেও তিনি এই ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেছেন ধান ও পাটের বাজারদর, পাটচাষিদের দুরবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের অবস্থা নিয়ে। অল্প বয়সেই তাঁর এই সমাজসচেতনতা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, চারিত্রিক সততা ও দৃঢ়তা তাঁকে পরবর্তীতে কালে একজন পরিশীলিত রাজনীতিবিদের
আসনে সমাসীন করে। আমাদের বিশ্বাস, সচেতন পাঠকমহলে এই ডায়েরি সমাদৃত হবে।
- শিরোনাম তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৫২ - চতুর্থ খণ্ড
- লেখক বেলাল চৌধুরী (অনুবাদক)
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৯১৬১০৯
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st Published
- বাঁধাই হার্ডকবার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৩৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
বেলাল চৌধুরী
জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮, ফেনীর শর্শদীতে। নিজের সম্পর্কে তিনি বলতেন ‘স্বশিক্ষিত’। যুক্ত ছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। উন্মূল-বাউন্ডুলে জীবনের প্রতি ছিল অদম্য আকর্ষণ। ১৯৬৩ সালে কলকাতা গমন এবং সেখানকার সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠালাভ। ১৯৭৪-এ মায়ের আদেশে স্বদেশে ফিরে আসা। এরপর সাংবাদিকতা এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিই ছিল তাঁর পেশা ও নেশা। ভারত বিচিত্রা র সম্পাদক ও সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানী র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কলকাতার প্রবাসজীবনে কৃত্তিবাস-এর কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। কবিতার সমান্তরালে লিখেছেন নানা বিষয়ে বিস্তর গদ্য। অনুবাদেও ছিলেন সক্রিয়। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার। মৃত্যু ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা।