ভবিষ্যতের জাতীয় নেতা, একাত্তরের সংকটকালে যিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাঁর দৃঢ়তা, সাংগঠনিক প্রতিভা, দূরদৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, সেই অনন্য ব্যক্তিত্বের কোনো পূর্বাভাস কি মেলে এই ডায়েরিতে?
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
বইয়ের বিবরণ
তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর স্কুলজীবন শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়মিত প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। এমনকি কোন দিনের আবহাওয়া কেমন ছিল, তা-ও তিনি টুকে রাখতেন। তিনি কোথায় যেতেন, কার সঙ্গে দেখা করতেন, তাঁদের সঙ্গে কী বিষয়ে কথা হতো, রাজনৈতিক কার্যকলাপসহ সব ধরনের প্রসঙ্গই এসেছে তাঁর ডায়েরিতে। তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৫১ বইটিতে পাঠকেরা তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতার বয়ান পাবেন। সেই সঙ্গে যাঁরা গবেষণায় আগ্রহী, তাঁদের জন্যও খুবই সহায়ক হবে এই বই।
- শিরোনাম তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৫১ - তৃতীয় খণ্ড
- লেখক বেলাল চৌধুরী (অনুবাদক)
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৯১৬১১৬
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st Published
- বাঁধাই হার্ডকবার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৫৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
![](https://image.prothoma.com/userImages/2021/03/603ddd5b19d99_1614667099.jpg)
বেলাল চৌধুরী
জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮, ফেনীর শর্শদীতে। নিজের সম্পর্কে তিনি বলতেন ‘স্বশিক্ষিত’। যুক্ত ছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। উন্মূল-বাউন্ডুলে জীবনের প্রতি ছিল অদম্য আকর্ষণ। ১৯৬৩ সালে কলকাতা গমন এবং সেখানকার সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠালাভ। ১৯৭৪-এ মায়ের আদেশে স্বদেশে ফিরে আসা। এরপর সাংবাদিকতা এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিই ছিল তাঁর পেশা ও নেশা। ভারত বিচিত্রা র সম্পাদক ও সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানী র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কলকাতার প্রবাসজীবনে কৃত্তিবাস-এর কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। কবিতার সমান্তরালে লিখেছেন নানা বিষয়ে বিস্তর গদ্য। অনুবাদেও ছিলেন সক্রিয়। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার। মৃত্যু ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা।