এ উপন্যাসে টাঙ্গুয়ার হাওর এক জীবন্ত সত্তা। হাওর মানুষকে কাঁদায়, আনন্দে ভাসায়; মায়া ও মমতায় আগলে রাখে। হাওরবাসীর সেই যাপিত জীবনের উদ্যাপনের গল্প যেন এ উপন্যাস।
বইয়ের বিবরণ
হাওর শব্দটি মনে এলেই চোখে ভাসে বিস্তীর্ণ জলরাশি। টাঙ্গুয়ার হাওরে বাস করা কৃষি ও জলজীবী মানুষের জীবন, তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, হাওরের জল ও মাটির সঙ্গে মিশে থাকা ভালোবাসা এবং জীবনযুদ্ধে হার না-মানা মানুষের গল্প নিয়ে উপন্যাস হাওরের জলস্রোত। হাওরে বেড়ে ওঠা তরুণ রেজাউল তার বাবার সঙ্গে জীবন ও জীবিকার গল্প করতে করতে পৌঁছে যায় বাড়ি। এক দৃশ্য থেকে আরেক দৃশ্যে গড়াতে থাকে কাহিনি। হাওরবাসীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নানা টানাপোড়েন ও বৈপরীত্য থাকলেও হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া বোরো ধান রক্ষাসহ যেকোনো বিপদে তাদের এক হয়ে লড়তে দেখা যায়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও স্বজন-পরিজনের জলে ডুবে মরার ক্ষত ধুয়েমুছে দেয় হাওরের জলস্রোত। হাওরকে ভালোবেসে তারা গেয়ে ওঠে জীবনের গান। তাদের চিরচেনা জলস্রোতকে রঙিন করে তোলে অনেক ফুল আর সবুজ পাতায়।
- শিরোনাম হাওরের জলস্রোত
- লেখক সেলিনা হোসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সেলিনা হোসেন
জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭, রাজশাহী শহরে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। প্রথম গল্পগ্রন্থ বেরোয় ১৯৬৯ সালে। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস: গেরিলা ও বীরাঙ্গনা, দিনকালের কাঠখড়, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, নীল ময়ূরের যৌবন, কালকেতু ও ফুল্লরা; গল্পগ্রন্থ: উৎস থেকে নিরন্তর, জলবতী মেঘের বাতাস, খোল করতাল প্রভৃতি। দেশে ও বিদেশের কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর রচনা পাঠ্য। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন দুবার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে ডি.লিট উপাধি পেয়েছেন।