বইয়ের বিবরণ
এই বইয়ে আত্মজৈবনিকতা আছে। লেখক তাঁর চলার পথে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যা পেয়েছেন ও শিখেছেন তারই একাংশ এখানে উপস্থিত। দু-একটি ছাড়া সবগুলো প্রবন্ধই আকারে ছোট; কিন্তু সব কটিতেই তাগিদটা হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রে মৌলিক পরিবর্তন আনবার। যে পরিবর্তন সম্ভব হবে না। সামাজিক বিপ্লব সম্পন্ন করতে না পারলে । এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য আবশ্যক হলো সাংস্কৃতিক জাগরণ, যে জাগরণটি আমাদের সমাজে ঘটেনি, এবং যেটি না ঘটলে সমষ্টিগতভাবে এবং যথার্থ অর্থে সামনে এগোনো কিছুতেই সম্ভব হবে না। সাংস্কৃতিক জাগরণের বিষয়ে এ বইয়ের লেখক অন্যত্রও লিখেছেন, এখানেও লেখা হয়েছে। প্রবন্ধগুলো বিভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনে ও পরিপ্রেক্ষিতে লেখা। কিন্তু সেগুলো একই সূত্রে গ্রথিত, এবং সেটি হলো সম্মুখ যাত্রা। লেখকের বক্তব্য স্পষ্ট, তবে উপস্থাপনাটা হৃদয়গ্রাহী। তাঁর রচনার এই সাধারণ বৈশিষ্ট্য এই বইয়েও সমান মাত্রায় উপস্থিত।
- শিরোনাম পথে পথে সঞ্চয় সম্মুখ যাত্রা
- লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- প্রকাশক কথাপ্রকাশ
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৮৬৯৭৯৫
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st Publication
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৯৮
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
জন্ম ২৩ জুন ১৯৩৬, বিক্রমপুরের বাড়ৈখালী। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা ও ঢাকায়; পরে ইংল্যান্ডের লিডস ও লেস্টারে। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে ইমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে স্থায়ী হন। প্রধানত প্রবন্ধ লেখেন। গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, অনুবাদও করেছেন। বইয়ের সংখ্যা প্রায় এক শ। নিয়মিত সম্পাদনা করছেন ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত। ওসমানী উদ্যান, লালনের আখড়া এবং আড়িয়াল বিল রক্ষা আন্দোলনসহ অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।