বইয়ের বিবরণ
কবিতার নিবাস ছিলো মধ্যযুগে। কবিতা না-বলে তাকে লোকে বলতো পদ্য। ঈশ্বর গুপ্ত তাঁকে গঙ্গাজলে ধুয়ে-মুছে ভদ্র চেহারা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। প্রাত্যহিক জীবনের ভাষা, ছন্দ, দেবদেবী, রাজারানীর দরবার থেকে তাকে সরিয়ে এনে আধুনিকতার চেহারা দিতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ইংরেজ রাজত্বে ইংরেজি না-জানার অপরাধে তিনি আধুনিকতার আলো দেখিয়েও সে আলোকে জ্বালিয়ে রাখতে পারলেন না। ইংরেজি শিখে রঙ্গলালও নয়। রঙ্গলালের পড়শি মধুসূদন দত্ত ইংরেজি শিখলেন আরও ভালো করে। পিতামাতাকেও ত্যাগ করলেন। কবিতা লেখেন বাংলায়, কিন্তু বাংলায় একটি কথাও বলেন না। একটি বাক্যও না। তা সত্ত্বেও, তাঁর ইংরেজি বিদ্যা খাটিয়ে বাংলায় লিখলেন পুরাণের কাহিনী। জন্ম থেকে হিশেব করলে তাঁর দু শো বছর পূর্তি হলো। বাঙালিরা আজও ভোলেনি তাঁকে। কী জাদু তাঁর!
- শিরোনাম মাইকেলের দু শো বছর
- লেখক গোলাম মুরশিদ
- প্রকাশক অবসর প্রকাশনা সংস্থা
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৮৮০১৬০৪
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
গোলাম মুরশিদ
ব্যাপক গবেষণা এবং বিবিধ গ্রন্েথর জন্যে গোলাম মুরশিদ উভয় বাংলায় সুপরিচিত। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতি, উনিশ শতকের বঙ্গদেশ, বঙ্গীয় রেনেসন্স, মানবীবিদ্যা, ভাষা-সাহিত্য ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ। কিন্তু তাঁর তিরিশটি গ্রন্েথর মধ্যে আশার ছলনে ভুলি সমগ্র বাংলা জীবনী-সাহিত্যে একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে কিংবদন্তির ধূম্রজাল থেকে মুক্তি দিয়ে লেখক মাইকেল-জীবনকে বস্ত্তনিষ্ঠভাবে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল-জীবনীও অনুরূপ। তাঁর হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে সমালোচক বলেছেন ‘মহাগ্রন্থ’। রেনেসন্স বাংলার রেনেসন্স গ্রন্থটি বঙ্গীয় রেনেসন্স সম্পর্কে একেবারে নতুন মূল্যায়ন। পুরোনো বাংলা গদ্যের ইতিহাস রচনায়ও তাঁর অবদান অসামান্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিলেতে বাঙালিদের ইতিহাস ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর গবেষণা। তাঁর আর-এক অসামান্য কাজ বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান সম্পাদনা।