বইয়ের বিবরণ
গল্পগ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে দশটি গল্প ; যথাক্রমে- পরিণতি, বিপ্লব, যুগল প্রেমের স্রোতে, ছলনাজাল, বিশ্বাসের ফাঁদ, ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি, রক্তমাখা চরমতলে, না পেয়ে তোমার দেখা, হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা এবং শূন্যতার গোলকধাঁধা। সমকালীন রূঢ় বাস্তবতা, বৈষম্য ও অনাচার, মানবিক অবক্ষয়, মানুষের স্ববিরোধিতা, ভণ্ডামি ও কপটতার মতো নিকৃষ্ট মনোবৃত্তি, আধুনিক ও প্রাচীনপন্থার বিরোধ, যৌনতা, গতানুগতিকতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের টানাপোড়েন, সংবেদনশীলতা এবং নারী-পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা গল্পগুলোতে অনায়াসে চলে এসেছে। বইটি পাঠের সময় পাঠক অস্বস্তিতে পড়ে যাবেন গল্পের শুরু এবং শেষ নিয়ে। পলাশ মজুমদার বাস্তবজীবনে সমাজমনস্ক, রাজনীতির ধার না ধারলেও তার লেখায় সূক্ষ্মভাবে চলে আসে রাজনীতি। পর্যবেক্ষণশীল পাঠকের কাছে তা ধরা পড়ে অনায়াসে। তবে বলা যায় যুক্তিবাদিতা তার গল্পের অন্যতম অনুষঙ্গ। নর-নারীর চিরন্তন প্রেমও লেখক এড়িয়ে যান না। একই সঙ্গে তার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার প্রতি রাগ-ক্ষোভ ও বিদ্রূপ। তাঁর লেখায় ধর্মকে তিনি কোন প্রকার আঘাত করেননি, তবে আঘাত করেছেন ধর্মীয় মুখোশের আড়ালে ভণ্ডামিকে। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিদ্যমান ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষের চিত্র এঁকেছেন রাখঢাক না রেখে, কারও পক্ষাবলম্বন না করে। অপ্রিয় সত্য বলায় দ্বিধাহীন পলাশ মজুমদার দার্শনিক না হলেও তাঁর লেখায় দার্শনিকতা স্পষ্ট।
- শিরোনাম ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি
- লেখক পলাশ মজুমদার
- প্রকাশক বিদ্যাপ্রকাশ
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।