স্বপনচারিণী: স্বপ্নসখা

লেখক: সুমন্ত আসলাম, ফারজানা ঊর্মি (অনুবাদক)

বিষয়: সকল বই সমূহ, উপন্যাস ও উপন্যাস সমগ্র

১২৮.০০ টাকা ২০% ছাড় ১৬০.০০ টাকা

বইয়ের বিবরণ

ফ্ল্যাপে লিখা কথাতার হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আর সে কিনা হয়ে গেল লেখক! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও যে লেখক হওয়া যায়, সে জানে। কিন্তু সংসার ভালো বেসে, সন্তানকে ভালো বেসে, হয়ে গেল নির্ভেজাল গৃহিনী। কিন্তু অধ্যায়নকালের লেখালেখির অঙ্কুরটা যে আস্তে আস্তে বড় করছিল সে- নিজের ভেতর, নিজের সত্তায়, মস্তিস্কে, সর্বোপরি অস্তিত্বে। দৈনিক পত্রিকায় প্রতিযোগিতামূলক লেখা ছাপিয়ে পুরষ্কার পাওয়া, গল্প লেখা, আবৃত্তিতে প্রথম হওয়া- আরো কত কী! তারপর একটু বিরতি নিয়ে হুট করে আবার লেখালেখি শুরু। শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় গল্প, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে বিভিন্ন স্বাদের মজার রচনা এবং শেষ পর্যন্ত উপন্যাস। এই হচ্ছে ফারজানা ঊর্মি, সেই ছোট্টটি থেকৈ মেধার স্বাক্ষর বইতে বইতে শেষে ফার্স্ট, উদ্ভিদবিজ্ঞানে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।একটা বই উৎসর্গ করেছিলাম তাকে-ছোট ঘাসফুলটাও আমরা ছুঁয়ে দেখি একসঙ্গে, ঘর থেকে বের হলেও দুজন একসঙ্গে- কোনো খাবারঘরে, ক্রেতা হয়ে কিংবা কোনো আত্মীয় আবাসে। কারণে-অকারণে হেসে উঠি মুহূর্তে মুহূর্তে, বোধ আর বোধহীনতা বোধগম্য না হলে কথা একান্তে। দুঃখ না যতটা ভাবায় আমাদের, আনন্দ আর সুখ ভাবায় বেশি- এত আনন্দ কেন জীবনে, এত সুখ কেন তা যাপনে!খুব সত্য একটা কথা বলব এখন। আমি আমাকে নিয়ে যতটা না নিশ্চিত, তাকে নিয়ে অনেক বেশি নির্ভার। তার লেকা তো আমি পড়ি, কঠোর সামলোচক হয়ে পড়ি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে যাই মুগ্ধ, আনন্দিতও।কিন্তু এই মেয়েকে নিয়ে আমার দুঃখ আছে- লিখতে গেলে যে রান্নাটাও করতে হয়, তা অবশ্য সে করে, তবে মাঝে মাঝেই কিছু পুড়ে যাওয়ার গন্ধ আসে নাকে। অপরাধী বদনে সে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন। লেখার মগ্নতায় যে মেয়ে এক নিমগ্ন, ভোজনরসিক হয়েও, ওই পুড়ে যাওয়া জিনিস মুখে দিয়েও আমি চেহারাটা হাসি হাসি করে রাখি। তার কাছে যে আমার একটাই চাওয়া- লিখতে লিখতে একদিন সে আমাকেও ভুলে যাক!-সুমন্ত আসলাম।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন