অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমান (ষ্ট্যান্ডার্ড)

লেখক: শেখ মুজিবুর রহমান

বিষয়: জীবনী/আত্মকথা/স্মৃতিকথা, বঙ্গবন্ধু

৩৮৮.৫০ টাকা ২৬% ছাড় ৫২৫.০০ টাকা

বইয়ের বিবরণ

                                                                                                                                            

২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাঁকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে।

বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে লেখকের চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেন। তাঁর এই অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অন্যতম প্রেক্ষাপট রচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঐ সংগ্রামের জন্য তিনি জনগণকে “যা কিছু আছে তাই নিয়ে” প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হলে শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান জীবদ্দশায় কিংবদন্তী হয়ে ওঠেন।

১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
                        
                        
                        
                        
                         

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৪(৪)
  • (৩)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (১)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Md Mizan

২৮ Feb, ২০২৩ - ১:১২ PM

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের একজন প্রাণপুরুষ। তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়। তার বইগুলো যখন আমরা পড়ি তখন মনের অজান্তে কৌতুহলবশত জানতে ইচ্ছে করে তৎকালীন বাংলাদেশের মানুষেরা কেমন ছিল, তখনকার রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল, তখনকার পরিবেশ কেমন ছিল । তবে শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছেন আত্মজীবনী লেখা তার কাছে একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র আমাদের কাছে অনেক বড় একটি পাওয়া। তার আত্মজীবনীতে তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের কাছে খুবই দুর্লভ। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উল্লেখ করেন। তাদের পূর্বপুরুষদের কথা যা প্রত্যেক আত্মজীবনীকার লেখেন । তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তার পেশা শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। অর্থাভাবের ফলে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে পারতেন না। তার বাবা তাকে বাধা না দিলেও খুশি হতেন তা বোঝা যায় বইটি পড়লে। তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ইস্যুর কারণে জেলে গেছেন। প্রচুর পরিশ্রম ,কাজ করেছেন ।আবার স্বৈরাচারী সরকারের হাতে বন্দী হয়েছেন। তার মেয়ে ছিল তার দুই চোখের মনি । তার ছেলে তাকে দেখেনি বলে তাকে চিনতে পারছিল না ।হাসিনাকে বলেছিল আমি তোমার আব্বা আব্বা বলি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তখন বুকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রকৃতপক্ষে তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না তার সন্তান তাকে জানবেনা চিনবে না। দিনগুলো কষ্টে পার করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার ক্ষণজন্মা জীবনে ঐতিহাসিক কর্মকান্ডগুলো আমাদেরকে পিছুটানে । বইটি প্রত্যেক রাজনীতিবিদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী্ গবেষক সকলকে পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা

Md. Yaqub Ali

২১ Feb, ২০২৩ - ৬:৫২ AM

এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তার আত্মজীবনী লিখেছেন। ১৯৬৬-৬৯ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দি থাকাকালে একান্ত নিরিবিলি সময়ে তিনি লিখেছেন। বইয়ের শেষে সংক্ষিপ্ত আকারে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে যেটা লেখকের লেখা না। বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতের লেখাটার তীব্র স্রোতে ভেসে এসে পাঠককে তাই ধাক্কা খেতে হয়। এমন পরোপকারী, জনদরদি একজন মানুষের এমন পরিণতির কথা পড়ে। বইয়ের শুরুটা খুবই আগ্রহোদ্দীপক। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, বন্ধুবান্ধবরা বলে, তোমার জীবনী লেখ। সহকর্মীরা বলে, রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাগুলো লিখে রাখ, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আমার সহধর্মিণী একদিন জেলগেটে বসে বললো, বসেই তো আছ, লেখো তোমার জীবনের কাহিনি। বললাম, লিখতে যে পারি না; আর এমন কি করেছি যা লেখা যায়! আমার জীবনের ঘটনাগুলো জেনে জনসাধারণের কি কোনো কাজে লাগবে? কিছুই তো করতে পারলাম না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, নীতি ও আদর্শের জন্য সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করতে চেষ্টা করেছি। পুরো বইটার সবচেয়ে উপভোগ্য দিক হলো বইটা প্রথম পুরুষে লেখা। প্রথম পুরুষে লেখা যেকোনো বই দ্রুতই পাঠককে তার বইয়ের পাতায় একতাবদ্ধ করে ফেলে। পাঠক দিব্যদৃষ্টিতে সব ঘটনা নিজের চোখের সামনে ঘটতে দেখেন। আমিও এই বই পড়তে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর একেবারে শৈশব থেকে শুরু করে সমস্ত ঘটনাবলীই যেন দেখতে পেলাম। এছাড়াও বইতে লেখক অনেক ঘটনা নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন যেটা ভবিষ্যতে এসে ফলে গেছে। ফলে লেখকের দূরদৃষ্টির পরিচয়ও পাওয়া যায়। এছাড়াও আমাদের মানসিকতা গঠনের বিষয়টাকেও দেখেছেন খুবই গভীর দৃষ্টিতে। বাংলাদেশিদের চরিত্রের এমন অনেক বিষয়ে লেখক আলোকপাত করেছেন যেন সহজেই আমাদের ব্যক্তিগত এবং জাতিগত চরিত্রের মনস্ত্বাত্বিক বিশ্লেষণ সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি রাজনীতিবিদ বা জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব কর্তব্য কেমন হতে হবে সেই বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও সরকারি আমলা এবং মিলিটারির কর্মপরিধি কেমন হবে সেটাও বুঝতে পারা যায়। আর এর অন্যথা হলে দেশ ও জাতির কপালে কি ঘটতে পারে সেই বিষয়েও লেখক আলোকপাত করেছেন।

Ashraful Sharif

১৮ Feb, ২০২৩ - ৪:৪৯ PM

বই: অসমাপ্ত আত্মজীবনী লেখক: শেখ মুজিবুর রহমান বইয়ের ধরণ: আত্মজীবনী প্রকাশনী: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রচ্চদ: সমর মজুমদার পৃষ্ঠা: ৩২৯ 🔹জনমতের বিরুদ্ধে যেতে শোষকরাও ভয় পায় ৷ ~অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পৃঃ ২১০) ◾অসমাপ্ত আত্মজীবনী: ১৯৬৭ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন ৷ তবে শেষ করে যেতে পারেননি ৷ বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী পাণ্ডুলিপিটি তার মেয়ে শেখ হাসিনার হস্তগত হলেতার ছোট বোন শেখ রেহানা পাণ্ডুলিপিটির নাম দেন— 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' ৷ যাতে বঙ্গবন্ধু তার ব্যক্তিজীবন ও বাংলাদেশের রাজনীতির হালচাল আলোচনা করেছেন ৷ ● প্রাককথন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" নিরেপেক্ষতার মৌলিক দলিল ৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কখনো অন্যায়ের পক্ষে আপস করেন নাই ৷ জেল-জুলুম, নানান ভয়-ভীতি এমন কি ফাসির দঁড়িকেও ভয় করেন নাই ৷ দেশ, দেশের জনগণ এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় তিনি ছিলেন সর্বদায় অটুট ৷ বাবার আদর্শে গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু সর্বদায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন ৷ হয়েছেন অবিসংবাদিত নেতা৷ তার জীবনের সমস্ত কাজকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছে বাংলার মানুষ ৷ একাত্তরে তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ৷ স্বাধীন হয় সোনার বাংলা ৷ জনগণকে সাথে নিয়ে সোনার বাংলাকে গড়ে তোলার কাজ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৷ ● লেখক পরাচিতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৷ বাঙালি জাতির জনক ৷ রাজনৈতিক কবি ৷ জীবনের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাঙালি জাতি এবং জাতি সত্তা নিয়ে কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে ৷ "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বইয়ে তার জীবনের ঘটে যাওয়া (১৯২০থেকে ১৯৫৫) ঘটনাগুলো লিখেছেন অনেকের অনুরোধ এবং তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছার উৎসাহে । কারাগারে থাকাকালীন তিনি আত্মজীবনী লিখা শুরু করেন (১৯৬৭) ৷ তবে আত্মজীবনী গ্রন্থের সমাপ্তি করে যেতে পারেননি ৷ ● বইয়ের বিষয়বস্তু: আত্মজীবনী মানে নিজের ঢোল নিজে পেটানো ৷ তবে শেখ মুজিবুর রহমানের "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" নিরপেক্ষতার দলীল ৷ ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুর লেখা চারটি আত্মজীবনী মূলক খাতা তার কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয় ৷ যা ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে থাকাকালীন অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু শেষ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীত প্রাণ ৷ সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন সমগ্র জীবন জুড়ে ৷ জেলে থাকাকালীন সময়ে সবার অনুরোধে বঙ্গবন্ধু চারটি ডায়রি লিখতে শুরু করেন ৷ যাতে তিনি আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট বর্ণণা করেছেন ৷ বইটিতে লেখক নিজের বংশ পরিচয়, শৈশব, স্কুল-কলেজের শিক্ষাজীবনের আলোচনা করেছেন ৷ পাশাপাশি বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক আলোচনা তুলে এনেছেন ৷ লেখক আলোচনা করেছেন- দেশভাগ, মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ ভাগের পর দেশের রাজনীতির হালচাল ৷ লেখক আরও আলোচনা করেছেন, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচিত সরকার গঠন নিয়ে ৷ বইটিতে লেখক লিখেছেন- ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ ৷ লেখক তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন ৷ বইটিতে আরও স্থান পেয়েছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্ততির কথা ৷ লেখক নিজের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছার সংগ্রামী জীবনের ত্যাগ তুলে এনেছেন৷ যিনি তার রাজনৈতিক জীবনে দুঃসময়ে সহায়ক ভূমিকায় ছিলেন ৷ বইটিতে লেখকের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের বর্ণণা ফুটে উঠেছে ৷ যা বইটিকে অনন্য করেছে৷ ●বইয়ের কিছু উক্তি: ◇ অন্ধ কুসংস্কার ও অলৌকিক বিশ্বাস বাঙালির দুঃখের আর একটি কারণ ৷ (পৃঃ ৪৮) ◇ নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করে, জনগণকে তার খেসারত দিতে হয় ৷ (পৃঃ ৭৯) ◇ যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হতে পারে, যারা কাজ করে না তাদের ভুলও হয় না ৷ (পৃঃ ৮০) ◇ শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র চলতে পারে না ৷ (পৃঃ ১২৬) ◇ মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে ৷ যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে ৷ (পৃঃ ২৫৭) ● বইয়ের দারুণ একটি কথা: একদিন সকালে আমি আর রেণু বসে গল্প করছিলাম । হাচু আর কামাল নিচে খেলা খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে এসে আব্বা আব্বা বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে "হাচু আপা, তোমার আব্বারে আমি আব্বা বলি"। আমি আর রেণু দুইজনে শুনলাম । আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে ওকে খুলে নিয়ে বললাম, আমি তো তোমারও আব্বা। কামাল আমার কাছে আসতে চাইতো না । আজ গলা জড়িয়ে ধরে পড়ে রইলো । বুঝতে পারলাম এখন আর ও সয্য করতে পারছে না। নিজের ছেলে অনেকদিন না দেখলে ভুলে যায়। "আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস ।" ● বইটি কেন পড়া উচিত: বাঙালি জাতি সত্তার ইতিহাস জানার জন্য বইটি অন্যতম ৷ বঙ্গবন্ধু যেহেতু বাংলার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছেন সেজন্য তার আত্মজীবনী মানেই বাংলার ইতিহাস ৷ ঐতিহ্য ৷ "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পাঠ করলে পাঠক অবশ্যই বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে পারবে ৷ বাংলার ইতিহাস জানার জন্য বইটি সবার পড়া উচিত ৷ যদিও বইটি তিনি শেষ করে যেতে পারেন নাই, তবুও এতে বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে সুদূঢ় আলোচনা করেছেন ৷ ● ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫ #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা

Mithu Ghosh

৩১ Mar, ২০২১ - ১১:৪১ AM

ake book bt price vinno kno?