নারী প্রগতির একশো বছরঃ রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া

লেখক: গোলাম মুরশিদ

বিষয়: বিবিধ বিষয়, সকল বই সমূহ, নারী

২৮০.০০ টাকা ২০% ছাড় ৩৫০.০০ টাকা

বইয়ের বিবরণ

একুশ শতকের বাংলাদেশে নারী আর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে নেই। তাকে দেখা যায় জনজীবনের সর্বত্রই। তার সামাজিক মর্যাদা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ কওে ঘরের বাইরে। সেখানে সে ছোটোবড়ো নানা পদে অধিষ্ঠিত-ঝাড়ুদারনি থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত। স্কুলের শিক্ষিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা; কেরানি থেকে বিচারপতি পর্যন্ত। লেখাপড়ায় সে এগিয়ে গেছে ছেলেদের প্রায় পিছনে ফেলে। হিমালয় থেকে আরম্ভ করে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছে বাঙালি নারী। কিন্তু দেড় শো বছর আগেও মেয়েদের জন্যে লেখাপড়া, ঘরের চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া, গাড়িতে চড়া, জুতো পায়ে দেওয়া, দিনের বেলা স্বামীর সঙ্গে দেখা করে অথবা কথা বলা ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ। পুরুষ-শাসিত বাঙালি সমাজে নারীরা তখন ছিলো একটা জন্তুর মতো। তার ভূমিকা ছিলো একের ভিতরে পাঁচ-একই সঙ্গে সে ছিলো রাঁধুনি, পরিচারিকা, আয়া, সন্তানের মা এবং শয্যাসঙ্গিনী। তারপর দেড় শো বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে সেই অবস্থার। কিন্তু কী করে? কাদের চেষ্টায়? কোন নারীরা প্রথমে পথ দেখিয়েছিলেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার? মাত্র দেড় শো বছরে এতো বড়ো সামাজিক পরিবর্তন কী কওে সম্ভব হলো? এই গ্রন্থে সেই কথাই লেখা হয়েছে, কয়েকজন নারীর দৃষ্টান্ত দিয়ে। রাসুন্দরী দেবী অবিশ্বাস্যভাবে নিজে নিজে লেখাপড়া শিখে বাঙালিদের মধ্যে সবার আগে আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন। কৈলাসবাসিনী দেবী সবার আড়ালে স্বামীর কাছে লেখাপড়া শিখে তিনখানা বই লিখেছিলেন। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী বাঙালি নারীদের শাড়ি পরা শিখিয়েছিলেন। নিজে গিয়েছিলেন বড়োলাটের সঙ্গে ডিনার করতে। কৃষ্ণভাবিনী দাস বিলেতে গিয়ে একটি চমৎকার ভ্রমণকাহিনী লিখেছিলেন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীদের জন্যে পুরুষের সমান অধিকার এবং মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন। মোট কথা, ইতিহাস রচনা করেছিলেন তাঁরা। সেই ইতিহাসই এ বইয়ের বিষয়বস্তু।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

গোলাম মুরশিদ

ব্যাপক গবেষণা এবং বিবিধ গ্রন্েথর জন্যে গোলাম মুরশিদ উভয় বাংলায় সুপরিচিত। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতি, উনিশ শতকের বঙ্গদেশ, বঙ্গীয় রেনেসন্স, মানবীবিদ্যা, ভাষা-সাহিত্য ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ। কিন্তু তাঁর তিরিশটি গ্রন্েথর মধ্যে আশার ছলনে ভুলি সমগ্র বাংলা জীবনী-সাহিত্যে একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে কিংবদন্তির ধূম্রজাল থেকে মুক্তি দিয়ে লেখক মাইকেল-জীবনকে বস্ত্তনিষ্ঠভাবে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল-জীবনীও অনুরূপ। তাঁর হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে সমালোচক বলেছেন ‘মহাগ্রন্থ’। রেনেসন্স বাংলার রেনেসন্স গ্রন্থটি বঙ্গীয় রেনেসন্স সম্পর্কে একেবারে নতুন মূল্যায়ন। পুরোনো বাংলা গদ্যের ইতিহাস রচনায়ও তাঁর অবদান অসামান্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিলেতে বাঙালিদের ইতিহাস ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর গবেষণা। তাঁর আর-এক অসামান্য কাজ বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান সম্পাদনা।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন