বইয়ের বিবরণ
নর্মদা মিথুনের কবিতায় বারবার ফিরে আসে নস্টালজিয়া। লোকগান, শৈশব, মাটির ঘ্রাণ, গাজী রুমাল, পেলুন জাল, ধানখেত, ভাটির পরান, কচুরিপানা, মনজোনাকি, জোছনাজ্বলা হাত, নদী, কৃষক, মা—এমন অজস্র উপাদান ঘুরেফিরে আসে। ছন্দ ও চিত্রকল্পের ব্যবহার কবিতাগুলোকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। তাঁর কবিতার ভাষা সরল, কিন্তু সেই সরলতার মধ্যে আমরা খুঁজে পাব আমাদের অন্তর্গত বেদনা, হাহাকার ও ভালোবাসার গল্পগুলো। কবিতায় নর্মদা মিথুন শব্দের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন ভাষাকে, ভাষার চেয়ে জীবনবোধকে। এই বইয়ের কবিতাগুলোতে শিল্প আছে, কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যাবে, সেই শিল্পে গভীরভাবে লুকিয়ে আছে জীবন। পাঠক, কবিতার লাল ফিতায় বাঁধা রোদচোর বিকেল, ময়ূরপঙ্খি নাও, নাকফুল, ফ্লয়েড, সেজুঁতিদি, নিখিল, বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমদের দূরের বরফদেশে স্বাগত।
- শিরোনাম দূরের বরফদেশ
- লেখক নর্মদা মিথুন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮ ৯৮৪ ৯৮৫৬৯ ৪ ৮
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন
Munir Hasan
১১ Feb, ২০২৪ - ৪:৫১ PM
ছোটবেলায় একবার বৃষ্টিতে ওপর থেকে বরফ নেমে আসলো। আমি তো খুশি। তাহলে আমাদের দেশেও বরফ পরে! কিন্তু সেই উচ্ছাস দেখাতে গিয়ে খেলাম ঝাড়ি। বলা হরো – গাধা। এ্গুলো শিলা। বরফ না!!! সেই থেকে বরফদেশের প্রতি আমার এক ধরণের আকর্ষণ। ম্যালা দেশে গেছি। দুই গোলার্ধে শীতকালে ভ্রমণ করেছি। কিন্ত কপালে বরফ জুটে নাই। নর্মদা মিথুনের বই-এর নাম দেখে প্রথমেই ভেবেছি এটা হয়তো যে সব দেশে বরফ পরে সেসব দেশের কবিতা। কিন্তু বই পড়ার পর সে চিন্তা হালে পানি পায় নি। আমার দেখা অন্য ১০ জন কবির মতো নতুন এই কবিও বিরহ যাতনার কবি। তার বিরহের মাত্রাটা টের পাওয়া যায় বই-এর নামে যে কবিতা সেটাতে - সামনে আসছে বিরাট লোডশেডিং খবর দিচ্ছে গরম কালের হাওয়া তুমি তো এখন দূরের বরফদেশ শীতল-থাকবে এটাই পরম চাওয়া। বোঝা যাচ্ছে প্রেমিকার বিরহে কাতর কবি শেষমেষ প্রেমিকের ভাল চান। সে জন্য কবি তার হেরে যাওয়াতেই খুশি থাকেন। হেরে যাও্য়া কবিতাতে কবি লিখেছেন- জীবনে ভাবিনি নিজে কিসে লাভ আছে গোপনে শেখাতে নদী ডাকছিল কাছে শেখাতে শেখাতে বলে, “হারাটাই ভালো” কথাটা নিমেষে যেন মনে আটকাল তোমাকে হারাতে গিয়ে হেরে যাই আমি কবির মনের এই আকুতি শেষ পর্যন্ত নানা কবিতা হয়ে ঝড়ে পড়েছে এই কবিতার গ্রন্থে। কবিতার বই আমার খুব একটা পড়া হয় না যদিও একাকালে সোনালী কাবিন বা বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা বিছানায় বালিশের কাছেই থাকতো। কিন্তু তরুণ কবি নর্মদা মিথুনের এই বই আমাকে আবারও কবিতা নিয়ে ভাবিয়েছে। কবিতা প্রেমী ও অপ্রেমী সবাই পড়তে পারেন।