দুই প্রবীণ মৃগাঙ্ক ব্যানার্জি আর শিশির ঘোষ। কর্মজীবন শেষে কাটছে তাঁদের অবসরজীবন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক, সাংসারিক নানা সমস্যায় জর্জরিত তাঁরা আজ নিঃসঙ্গ, অবাঞ্ছিত। এই দুই প্রবীণের জীবনের নানা সংকট নিয়ে এই উপন্যাস।
বইয়ের বিবরণ
এই উপন্যাস প্রবীণদের নিয়ে। যাঁরা পার করছেন অবসরজীবন। মৃগাঙ্ক ব্যানার্জি নামকরা এক কলেজের প্রিন্সিপাল। আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনো। সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করেছেন। অন্যজন শিশির ঘোষ। থানার ওসি। তাঁর চাকরিজীবন কেটেছে চোর-ডাকাত-বাটপারদের সঙ্গে। আদর্শের দিক দিয়ে তিনি সৎ নন। সন্তানদের মানুষ করতে পারেননি ঠিকমতো। পেশা ও চিন্তার জায়গায় দুই প্রবীণের সামাজিক অবস্থান ভিন্ন, কিন্তু পরিণতি যেন এক! একটা সময়ে যে সমাজে এবং যে পরিবারে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, সেখানে আজ তাঁরা বাতিলের খাতায়। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ কেন নিরালম্ব হন? কেন হন উন্মূলিত? কোন প্রলোভনে মানুষ তার শৈশবকে ভোলে? অস্বীকার করে পিতা-মাতার বাৎসল্যকে? সেই প্রলোভনের নাম কি নারীদেহ? না অন্য কিছু? হরিশংকর জলদাস এসব প্রশ্নের উত্তর খঁুজেছেন একটু দাঁড়াও উপন্যাসে।
- শিরোনাম একটু দাঁড়াও
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৮৩৫০৯৭
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।